প্রকাশিত:
২৪ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:০২
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজিতে জমে উঠেছে পাঁচশত বছরের ঐতিহ্যবাহী বন্দর খ্যাত সবচেয়ে বড় বরমী বাজার। এখানে প্রতি বুধবারে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিন বিক্রির জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও ও কাপাসিয়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত টাটকা শাকসবজি নিয়ে বাজারে আসেন।
শীতলক্ষ্যা খেয়া ঘাটে ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শীতকালীন টাটকা শাক-সবজি নিয়ে বসে আছেন। এগুলো হাক-ডাক করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। সকাল ১১ টা পর্যন্ত খেয়াঘাটেই বিক্রি হয় এসব সবজি।
বাজারের আড়তদার আনোয়ার হোসেন বলেন, এই হাটের বেশিরভাগ সবজি আসছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁওয়ের টাংগাব ইউনিয়ন থেকে। সকালে কৃষকরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভর্তি করে এসব সবজি নিয়ে আসেন। প্রতি হাটের দিন ৭-৮ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়ে থাকে এই বাজারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন এই বাজারে। এ ছাড়া শীতকালীন সবজি কৃষকদের কাছে থেকে সরাসরি কিনতে পারছেন পাইকাররা ও সাধারণ মানুষ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এ সব সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
গফরগাওয়ের টাংগাব গ্রামের কৃষক ফরিদ বলেন, এবার চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। তীব্র শীতের কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরেও প্রতি সপ্তাহে ৭০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারি। দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি।
বাজারে সবজি কিনতে আসা পাইকার দুলাল মিয়া বলেন, শীতকালীন টাটকা সবজি কিনতে বাজারে এসেছি। গত সপ্তাহে দাম একটু কম ছিল। তবে এখন বাজারে সবজির দাম একটু বেশি। ২৪ টাকা করে ২০০ পাতাকপি ও টমেটো কিনেছি ৩৩ টাকা করে।
সকালে বাজারে একজন সাধারণ ক্রেতা বলে, টাটকা শাকসবজি কিনার জন্য সকাল সকাল বাজারে আসতে হয়। সকাল সকাল সবকিছু একটু পরিমাণে বেশি নিতে হয় তা না হলে চাষিরা বিক্রি করতে চায় না। তবে বেশি কিনলেও একবারে টাটকা সব পাওয়া যায়।
আড়তের সবজি ব্যবসায়ী আফছর মৃধা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক ভালো প্রায় সব সবজিতেই দাম পাচ্ছেন বিক্রেতারা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ২৭৩৫০ সেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এরমধ্য এক হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে।
মন্তব্য করুন: