বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
  • ওয়ার্ড সচিব ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না
  • পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দোহা থেকে রোমে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আইসিটির দুর্নীতি তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স
  • তুরস্ক ও আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
  • দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে
  • নতুন দল নিবন্ধনে সময় বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

ইবি ভিসি

অভিযোগের কোটি ভাগের এক ভাগও আমার সাথে সম্পৃক্ততা নেই

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৪ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:২৫

সম্প্রতি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় উপাচার্যের কন্ঠ সদৃশ শিক্ষক নিয়োগের অডিয়ো ফাঁস হওয়া ইউজিসির তদন্ত সুরের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলছে তোলপাড়। এই ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম দাবি করেছেন এসব অভিযোগের কোটি কোটি ভাগের এক ভাগও তার সাথে সম্পৃক্ততা নেই।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার সামনে ব্রিফিং করে নিজের অবস্থান জানান উপাচার্য।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোটি কোটি অভিযোগের কোটি ভাগের এক ভাগও আমার সাথে সম্পৃক্ততা নেই। প্রথমে ভুয়া আইডি খুলে কথা প্রচার করে এবং লোকাল, অনলাইন সহ কখনও কখনও টাকা দিয়ে জাতীয় পত্রিকায় ১০, ২০ টা কাট করে করে... ৫০ এর অধিক পৃষ্ঠার একটা বান্ডিল করে সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে। এরা হচ্ছে মডিফাইড, মেলাফাইড এবং কীটপতঙ্গের প্রজাতির লোক। এগুলো কারা করতেছে জানতে চাইলে বলেন, এগুলো হচ্ছে ছায়াশক্তি, সামনে এসে অভিযোগ তুলার বা বলার কারও শক্তি নেই। আপনারাই সনাক্ত করেন, কারণ একটা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যের অপমান কেন করতেছে।

অডিও ফাঁসের ব্যাপারটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনাদের এখানে শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা হয় সাধারণ নিয়োগ বোর্ডের যে পাঁচ জন আছেন তারা সবাই মিলে সকালে বসেই প্রশ্ন তৈরি করেন। প্রশ্ন তৈরির সাথে সাথেই প্রশ্নটি পরীক্ষা হলে চলে যায়। এবং খাতাও দেখেন নির্দিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্টরা। সেসময় জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট শিক্ষকরা আমাকে বলেন যে পরীক্ষায় মাত্র দুইজন ক্যান্ডিডেট উপস্থিত হয়েছেন। তখন আমি শুধু নিয়োগ পরীক্ষাটি ক্যান্সেল করে দেয়। পরে এই নিয়োগের দায়িত্ব ট্রেজারার কাছে দেওয়া হয়। পরে আবার নিয়োগ সার্কুলার দেওয়া হয়।

তখন আগের দুই পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন পরীক্ষার্থীর পিএইচডি ডিগ্রি ছিলো, এমফিল ছিলো সাথে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানও। সে এপ্লাই করে নাই। তখন আমি ওর সাথে যোগাযোগ করি। তখন বুঝতে পারি সে অভিমানেই এখানে এপ্লাই করে নাই। তখন সে প্রায় কাঁদা অবস্থায় বলে যে স্যার আমিতো ভাবছিলাম আমার চাকরি হয়ে যাবে কিন্তু আমারতো হয়নি। তখন আমি ওকে বলি তোমাকে কে বলেছে যে তোমার চাকরি হয়েছে বা হয়নাই। আমিতো পুরো পরীক্ষায় ক্যান্সেল করে দিয়েছি। তখন আমি ওকে বলি আমরা আবার রিএক্সাম নিতে যাচ্ছি।

তুমি আমাদের একটু সাহায্য করো। যে তোমার বন্ধু বান্ধব বা অন্যকাউকে এখানে এপ্লাই করতে বলো। তখন সে আমাকে বলে যে স্যার এখানে এপ্লাই করতে গেলেও যে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকার প্রয়োজন। তখন আমি ওকে বলি তুমি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ওদের সাহায্য করতে পারো তো। ঐ যে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করো এইটাই হচ্ছে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ বাণিজ্য করেছে।

অডিওগুলো কি ইডিট করে করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব তো আমি জানি না। আমি যে অন্যায় করিনাই এর প্রতি আমার কোনো চিন্তাও নাই। এতোক্ষণ ধরে যেগুলো বললাম সেটাই যদি অন্যায় হয় তাহলে আমাকে যদি ফাঁসিতে যেতে হয় আমি গ্লাডলি যাবো। কারণ আমি মনে করি এটি অন্যায় নয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর