প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৪:৪৬
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে মুখরিত ইজতেমা ময়দান। ইতিমধ্যে ইজতেমা শুরুর আগেই মূলপ্যান্ডেল পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ময়দানে জায়গা না পেয়ে ময়দানের সামনে রাস্তার পাশে ফুটপাতে তাবু টেনে বসে পড়ছে জামাতী মুসল্লিরা।ইজতেমা ময়দান ও আশপাশ এলাকা ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার মূলপ্যান্ডেলের ভেতরে মোট ১০৪টি খিত্তা রয়েছে। ১৪টি খিত্তা সংরক্ষণে রেখে বাকি খিত্তাগুলোতে সারা দেশের মুসল্লিরা অবস্থান করছেন।জেলা ভিত্তিক খিত্তা থাকায় যারা আসেননি তাদের জন্য জায়গা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যেসকল জামাত ইতিমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে সেসব জামাতের জন্য খিত্তায় জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে অনিবন্ধিত ও নতুন জামাতগুলো খিত্তায় জায়গা পাচ্ছে না।জামাত বেঁধে আসার কারণে তারা মূলময়দানের বাইরে রাস্তার পাশে ফুটপাতে তাবু ঘেরে অবস্থান শুরু করেছেন।
টঙ্গী ইজতেমার প্রধান ফটকের সামনে টঙ্গী- কামারপাড়া সড়কের মিলগেট এলাকায় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য তাবু টাঙানো হচ্ছে।এ বিষয়ে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান মঞ্চের জিম্মাদার হাজী রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ আসছে। ময়দান ভরে গেছে। জায়গা হয়নি বলেই আমরা দিয়া বাড়ি ময়দান তৈরি করেছিলাম কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই সমস্যা হচ্ছে। আমরা দাবি করছি সামনের বছর যেন দিয়া বাড়ি ময়দান দেওয়া হয়। তাহলে জায়গার সমস্যা হবে না।’
ইজতেমা ময়দানে বিশ্বের ৩৬ দেশের মধ্যে ৭৫৯ জন বিদেশি মেহমান এখন ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় ইজতেমার বিদেশি খিত্তায় দায়িত্বরত একজন সরকারি কর্মকর্তা এই তথ্য জানান।
৩৬টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সউদী আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্দান ও যুক্তরাজ্য অন্যতম।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইজতেমা প্রশাসন। বিদেশি মেহমানদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি খিত্তার পাশে পুলিশ, র্যাবসহ সব বাহিনীর উপনিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও ভ্রমণের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রথম ধাপে ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আখেরি মোনাজাতের আগপর্যন্ত এভাবেই প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করবেন।
শনিবার বাদ ফজর মাওলানা আব্দুর রহমান, বাদ জোহর মাওলানা ইসমাইল গোদরা, বাদ আসর মাওলানা যোহারুল হাসান, বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম, রোববার বাদ ফজর বয়ান করবেন মাওলানা জিয়াউল হক, সকাল ১০টায় হেদায়েতি বয়ান শেষে বাংলাদেশের মাওলানা যোবায়ের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। মাঝে চার দিন বিরতি শেষে আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্ব। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্ব।
মন্তব্য করুন: