প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৭:২৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মক ট্রায়াল অনুষ্ঠান ও 'ছায়া আদালত' উদ্বোধন করা হয়েছেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে মক ট্রায়াল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে মুট কোর্ট অনুষ্ঠিত হয়।অনুশীলনটি তিন দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। এটি ছিল নবীন বিভাগের ২য় মুট কোর্ট অনুষ্ঠান। গত বছর সহকারী জাজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর কে সংবর্ধনা দেওয়া সহ বিজ্ঞ আইনজীবী, বিচারক ও অতিথিবৃন্দকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলিফ হাসানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখলেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মেহেদী হাসান।
বিভাগীয় সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতারের নেতৃত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জাজ আদালতের এডভোকেট মো: আবদুল মতিন, কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের সিনিয়র সহকারী জাজ মো: আজহারুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা আদালতের সিনিয়র এডভোকেট মো: নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের সিনিয়র এডভোকেট সংকর মজুমদার, কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিডার এডভোকেট আক্তারুজ্জামান মাসুম, কুষ্টিয়া বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম সহ বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসময় ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদ আখতার বলেন, আমাদের একদম ই নতুন একটি বিভাগ হলেও আমাদের পথচলা চলমান রয়েছে। করোনার কারণে দুইবছর বন্ধ থাকায় পরে আমরা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে চার থেকে সাড়ে চার বছর সময় পেয়েছি পুরো বিষয়টি গুছিয়ে নেয়ার জন্য। প্রথম ব্যাচ থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত একজন জজ বিভাগটি অর্জন করেছে। এছাড়া আমাদের আরো ৫ জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশের বাইরে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ যারা এখনো তাদের পাঠ গঠন শেষ করে বের ই হতে পারে নাই তাদেরই এই ধরনের সাফল্য আমাদেরকে অনেক স্বপ্ন দেখায়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ ধরণের মক ট্রায়াল এবং মুট কোর্টের মাধ্যমে উকিল, মোক্তার, বিচারক কিভাবে কাজ করে তা শেখা যায়। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা ছাত্র অবস্থায় কিছু কিছু জানতে পারবে, শিখতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের কোর্টের জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো যদি এরকম কার্যক্রম চালু রাখতে পারি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গর্বের বিষয় হচ্ছে যে এখানকার ল' ডিপার্টমেন্ট অনেক পুরোনো এবং ল' এর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পার্ট হলো ল্যান্ড। বিশ্ববিদ্যালয়টি ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নামে একটি কোর্স পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে আমাদের যে প্রোডাক্ট, তা বাজারে বিপণন যোগ্য এবং তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ ক'জন শিক্ষার্থীরা জুডিশিয়াল পরীক্ষায় তাদের নিজ নিজ যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে।
জানা যায়, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৪র্থ বর্ষের পাঠ্যসূচিতে ইন্টার্নশিপ ও মুট কোর্ট অনুশীলন নামে একটি অংশ রয়েছে। যেখানে ইন্টার্নশিপ অংশে শিক্ষার্থীরা আইন পাঠের পর বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীদের মাধ্যমে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং মুট কোর্ট অনুশীলন অংশে একটি কাল্পনিক আদালতও থাকে। যেখানে জজের আসনে বসে বিচারক এবং কাল্পনিক মামলার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন কর হয়।
মন্তব্য করুন: