সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি

জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ১০৫ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১০:৪৮

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ০৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে আতঙ্কে সীমান্তবাসীরা। বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১০৫ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।

তবে ভোরের দিকে গোলাগুলির শব্দ কিছুটা কমেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির তেমন শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবাসীরা।

এদিকে মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আমি (এএ) বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু সীমান্তের ৬৮ জন এবং ঘুমধুম সীমান্তের ৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধও রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহত দুজনকে কক্সবাজারে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও আনু মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে  ০৪ ফেব্রুয়ারি রোববার দুই বাংলাদেশি নাগরিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল সীমিত করেছে প্রশাসন। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু সীমান্তের ওপারের মিয়ানমার ক্যাম্পের ৬৮ জন এবং ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ক্যাম্পের ৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মির (এএ) মধ্যে তুমুল সংঘাত চলছে। ০৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুটি ক্যাম্প দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোর কিছুটা অংশ দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে মিয়ানমার সরকারি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে বোমা ছোড়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বিজিবি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর