প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৮:২৩
দুই দিনব্যাপী (৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী উপলক্ষে রঙবেরঙের আলোক সজ্জায় সজ্জিত ক্যাম্পাস। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ঘিরে ৯ ফেব্রুয়ারি পিঠা উৎসব ও লালন সংস্কৃতির আয়োজন করতে যাচ্ছে বিভাগটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবন, ভবন সংলগ্ন রাস্তায় এবং ক্যাম্পাসে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে লাল-নীল ঝাড়বাতির শোভা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রস্তুতি সম্পন্ন। রাত পোহালেই পিঠা উৎসব ও লালন সংস্কৃতি শুরু।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে গুগল ফর্মের মাধ্যমে সাবেক ৫৮২ জন ও বর্তমানে অধ্যয়নরত ৩১৬ জন নিবন্ধন সহ পনেরোশ জনের মতো শিক্ষার্থীদের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। এখানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সর্বমোট ৩২টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের রিইউনিয়ন উপলক্ষে আমি সত্যি অনেক উচ্ছ্বসিত। এই রিইউনিয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের বড় ভাইদের স্টাটাস সম্পর্কে জানতে পারবো, তাদের সাথে পরিচিত হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হবে। রাতে আলোক সজ্জিত ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে। ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই অনুষ্ঠানটা সুন্দর ও সফল করার জন্য।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকলিমা পুঁতি বলেন, নতুন আলপনা, সাথে আলোর ছড়াছড়ি, এ যেন এক নতুন সাজে সেজেছে আমাদের মীর মোশাররফ ভবন। সবথেকে বেশি আনন্দিত এ কারণে যে বড় আপু ভাইয়ারা আসবেন এ রিইউনিয়নে, তাদের থেকে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত গাইডলাইন পাবো, তাদের লাইফের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবো। আমাদের ডিপার্টমেন্টের আলোক সজ্জায় সজ্জিত পুরো ক্যাম্পাস। ভালোই লাগতেছে।
এবিষয়ে পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: লুৎফর রহমান বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগ প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে। বিভাগের ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমার বয়সের ব্যবধান গুচিয়ে আমি যে ৯২-৯৩ সেশনের ছাত্র ছিলাম সেখানে ফিরিয়ে নিয়েছে। সেই সময়ে শিক্ষক, বড় ভাই, সহপাঠীদের সাথে ক্যাম্পাসে-হলে যে বিচরণ ছিলো সেই স্বাদ পাচ্ছি, রাত পোহালে আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছেন।
জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: ফকরুল ইসলাম বলেন, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধন স্থাপনের প্রয়াস। আয়োজনটি সাজাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত এবং আমাদের সৌভাগ্যবান মনে করি। দেরিতে হলেও আমরা এতো সুন্দর একটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমি এই শুভক্ষণে পুরাতন সকল শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাই এবং আমি আমার বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সুস্বাগত জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন: