প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:৩৮
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি ক্লাবের সৌজন্যে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এসময় ড. শাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মুঈদ, সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ, অর্থনীতি ক্লাবের ট্রেজারার মিথিলা তানজিল এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।
বিদায়ী ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার আলী বলেন, বিদায় বলতে আমরা মনে করি শেষ, কিন্তু আসলে এটি শেষ না। আমার কাছে বিদায় বলে মনে হয় নতুন করে শুরু করা। আজকের এই বিদায়ের বেলায় আমাদের আনন্দের থেকে বেদনা বেশি হচ্ছে। কেননা কালকে থেকেই আমরা নতুন সূচনা শুরু করবো। অনেকে অনেক দিকে নিজেদের চাকরি বাকরি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করবে। এই বিদায় বেলায় আমি ৩০ তম ব্যাচের সবার জন্য দোয়া চাচ্ছি।
এসময় বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মুঈদ বলেন, এই বিদায় অনুষ্ঠান একাডেমিক কার্যক্রমেরই একটি অংশ। ৫-৬ বছর একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে পার করার পর যদি সাদামাটা বিদায় দেয়া হয় তবে ক্যাম্পাস সম্পর্কে তার তাগিদ কমে যাবে। তারা যেনো চলে যাওয়ার পর অনুভব করে যেখান থেকে আসলাম মায়া মমতা, স্নেহ পেয়ে আসছি। আমাদের আলটিমেট লক্ষ্য হলো এলমনাই শক্তিশালী করা। তাই আমাদের এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন।
ইকোনমিকস ক্লাবের সভাপতি ড. শাহেদ আহমেদ বলেন, আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত এবং উৎফুল্লিত যে অর্থনীতি ৩০ তম ব্যাচের এতো সুন্দর একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় দিতে পারছি। আমাদের এই ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রমে নিজেদের যোগ্যতা বজায় রেখে আজকের এই বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। তারা সবকিছুতে পারদর্শী ছিলো এবং এদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় মুখরিত ছিলো। তাদেরকে অর্থনীতি বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম এতো বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় দিতে পেরে আমরা অর্থনীতি ক্লাব সত্যি ই গর্বিত।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের যে বন্ধন এইটা জন্ম থেকে জন্মান্তরের বন্ধন। এই বন্ধনের সমাপ্ত হয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তাই আমি মনে করি আমাদের বরণ করার জন্য যেভাবে এগিয়ে আসি ঠিক তেমনিভাবে বিদায় বেলায়ও স্মরণীয় করে রাখার মতো আয়োজন করা উচিত। সেই চিন্তাধারা থেকেই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
মন্তব্য করুন: