বৃহঃস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৩, ১৫:৪৮

.

খাদ্যমান নিশ্চিতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছেন ওয়েবিনারের বক্তারা।

বুধবার (৭ জুন) বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট ও হৃদরোগ ঝুঁকি: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার থেকে এ দাবি করা হয়।

 
 

 

এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ডস সেভ লাইভস’।

এতে বক্তারা বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যের মান নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ পাস করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রবিধানমালাটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে পিএইচও বা ডালডা ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ট্রান্সফ্যাট প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মানুষকে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) উপ-পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য- মান উইং) এনামুল হক জানান, প্রবিধানমালা অনুসারে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিএসটিআই ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের কাজ শুরু করেছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাবার থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করতে পারলে মানুষকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ট্রান্সফ্যাট শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ কমায় এবং খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোত্তম নীতি’ বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর