ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাদের ১২ দফার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে ১২ দফা সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সাক্ষাতে যান কর্মকর্তারা। এসময় নিজেদের অবস্থান জানিয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন 'দীর্ঘদিনের দাবিগুলো নিয়ে ন্যায্যতা, আইনগত বিভিন্নভাবে আলোচনা, পর্যালোচনা করা হয়েছে। স্টাডি করতে করতে স্যার যদি আমলে আনতেন, গুরুত্ব দিতেন বা আমাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতেন তাহলে এখন দিয়ে দিতেন। আগামীকালের সিন্ডিকেটে যদি আমাদের দাবিগুলো উত্থাপিত না হয়, তাহলে এই রুম থেকে বের হবো না’।
এ সময় উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে আরো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। তখন কর্মকর্তারা এতে অসম্মতি জানান এবং দাবিগুলো সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করা পর্যন্ত উপাচার্যের অফিস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়ে মেঝেতে বসে পড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের নেতৃত্বে বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন। পরে উপাচার্য সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে কার্যালয়ে না ঢুকে বাসভবনে চলে যান। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে দাবী আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে নেমেছেন কর্মকর্তারা। এসব দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে চাকুরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করা, কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখা, আই.সি.টি সেলের উপ-রেজিস্ট্রার জনাব হাসিনা মমতাজ-এর চাকুরি হতে অব্যাহতি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য ভর্তি কোটায় শর্ত শিথিল করা, বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সমস্যা দ্রুত সমাধান, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন: