প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৫:৫৫
ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত,
শীতের পরেই জীর্ণতাকে ম্লান করে বসন্তে উঁকি দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগও ভুলে যাননি। মনের রঙে নিজে রাঙিয়ে নিতে বাংলা বিভাগ কর্তৃক র্যালি, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যৌথ অংশগ্রহণে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমবাগান সংলগ্ন বাংলা মঞ্চে এসে সমবেত হয়।
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. গাজী মাহবুব মুর্শিদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. বর্ণালী মৈত্র।
উৎসব পালন করতে এসে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার ফারজানা বলেন, আজকের আয়োজনে ফাল্গুন কে বরণ করে নিতে বিভিন্ন রঙে রঙিন শাড়ি পরিধান করে আনন্দ র্যালির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ঘুরেছি। এতে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে আছে বসন্তের আগমনে । আমাদের সকলের প্রচারণায় এই আয়োজন একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হোসেন বলেন, এটা আমাদের সংস্কৃতির ধারক বাহক। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে মূখ্য ভূমিকা রাখতেছে বাংলা বিভাগ। এসে আনন্দিত।
এ সময় সভাপতি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও সকলের সহযোগিতায় নাটক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত।আসলে কোনো জাতি নিজস্ব সংস্কৃতি, আচার কালচার থেকে দূরে সরে যায় তখন সেই জাতির অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাঙ্গালি, বাঙ্গালিত্ব ও বাংলা কৃষ্টি-কালচার সমুন্নত রাখা এবং নিজ দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার যত আচার, অনুষ্ঠান আছে তার মধ্যে অন্যতম এই বসন্ত উৎসব। এই সংস্কৃতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। আমার প্রত্যাশা থাকবে অনাগত দিন গুলোতে এই আয়োজন আরো প্রাণোচ্ছলভাবে, বৃহৎ আকারে আয়োজিত হবে এবং বাঙ্গালি সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, এই বাঙলায় ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে বসন্তের যাত্রা শুরু হলেও ২০০৭ সাল থেকে বাংলা বিভাগের সৌজন্যে ক্যাম্পাসে শুরু করে। এই কৃষ্টি ও কালচার ধরে রাখতে বাংলা বিভাগের ভূমিকা অনন্য।
মন্তব্য করুন: