প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৭:৫৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২৬২ তম সিন্ডিকেট সভায় কোন আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়াই ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: বখতিয়ার হাসানকে পদ অবনমন করে প্রভাষক করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইবির প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন, সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন সহ কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ ।
এছাড়াও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাফিজ রহমান রাকিব, সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহান সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারহানা নওশীন
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় উক্ত বোর্ডের একজন নিয়োগ প্রার্থী সংক্ষুদ্ধ হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও উক্ত তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ প্রদানের পরপরই মাননীয় উপাচার্য ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তৎকালীন সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ড. মোহাম্মদ বখতিয়ার হাসান তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে শাপলা ফোরাম বরাবর আবেদন করেন। বখতিয়ার হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটি একাধিকবার মাননীয় উপাচার্য প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সম্মানজনক সমাধানের আহ্বান জানান। শাপলা ফোরামের সকল আহবান উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. বখতিয়ার হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাপলা ফোরামের আহ্বান উপেক্ষা করায় ডক্টর বখতিয়ার হাসান সর্বশেষ উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন এবং আদালত এটিকে স্থগিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে শাপলা ফোরামের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জড়িতলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শান্তিপূর্ণ নিরবিচ্ছিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন তখন মাননীয় উপাচার্যের এ ধরনের প্রতিহিংসা পরায়ন কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি যতদূর জানি তদন্ত কমিটি তাদের ডেকেছিলো। বিষয়টি ভালো তদন্ত কমিটির সদস্যরাই বলতে পারবে। তবে তারপরও যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারে। সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই হয়েছে।
মন্তব্য করুন: