প্রকাশিত:
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৩:০৪
রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচলের সময় দিকনির্দেশনার জন্য কিছুক্ষণ পরপর একটি নারী কণ্ঠের শ্রুতিমধুর কথা শোনা যায়। ব্যস্ত নাগরিক জীবনকে সহজ করতে দুর্বার এই মেট্রোতে তার কন্ঠ নির্বাচনেও হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তার নাম কিমিয়া অরিন। বর্তমানে তিনি থাকেন কানাডাতে। সুকণ্ঠী কিমিয়া অরিন সম্প্রতি একটি দেশীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি জানান তার কণ্ঠের যাত্রাপথের ধারাবাহিকতা নিয়ে। কিমিয়া বলেন, তিনি বাংলাদেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ইংরেজি সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন বাংলাদেশ বেতারেও।
দেশে ৯ বছর কাজ করার পর তিনি বর্তমানে মাস্টার্স করার জন্য কানাডা আছেন। আগামী বছর পড়াশোনা শেষ করবেন কিমিয়া। তার পরিবারে রয়েছেন তার স্বামী এবং ছোট ভাই। কিমিয়ার স্বামীর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। শুরুর দিকে সবাইকে বললে কেউ বিশ্বাস করতো না এটা তার কন্ঠ। সবাই ভাবতো এটি মেশিন জেনারেটেড ভয়েস। কিন্তু আমি লিংক দিয়ে বলতাম, না আমি এই ভয়েস দিয়েছি, বলেন কিমিয়া। তিনি আরও বলেন, শুরুতে যখন আমি মেট্রোরেলে নিজের কণ্ঠ শুনি, খুবই এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম। সবাই আমার দিকেনির্দেশনা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে, এটি দারুণ ব্যাপার মনে হয়েছে। ভীষণ ভরসার, ভালো লাগার।
মেট্রোরেলে নিজের কণ্ঠ প্রদানের শুরুর গল্প হিসেবে কিমিয়া বলেন, প্রথম দিকে বিটিভির একজন রিপোর্টার আমাকে বললেন, আপনি মেট্রোরেলে ভয়েস দিতে চাইলে সিভি দিতে পারেন। আমি তার কথায় সিভি দেই। কাজের স্যাম্পল হিসেবে আমার ইউটিউব থেকে ভিডিওগুলোও দেয়া হয়। শুরুতে হয়েছিল টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের কাজ। তখন ছিল করোনাকালীন মাঝের দিক। অনেকবার ভয়েস দেয়ার পর নানাভাবে বিশ্লেষণ করে সর্বশেষ কিমিয়া অরিনের কণ্ঠটিই নির্বাচিত হয়। আর এখন তার দেওয়া সেই কণ্ঠটিই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন: