প্রকাশিত:
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৮:২৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এপিএ নৈতিকতা কমিটির আয়োজনে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে শুদ্ধচার কর্মশালা ও সংস্কৃতি মেলবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০ টার দিকে ইবির বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা বিভাগ ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সুদ্ধচার ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা ও ইবির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম. আলী হাসান। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজাতিদের গান, নাচ ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্রদর্শন করেন।
এসময় রাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বলেন, প্রথমেই হাজার বছর শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন আজকে যে অবস্থানে তিনি আসতে পেরেছেন তা সম্পূর্ণই স্বাধীন বাংলার জন্য। এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা জানান, তিনি অনেক ভাবেই চাচ্ছেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেন এগিয়ে যায় অনেক দূর। কিন্তু কিছু পার্বত্য এলাকা হওয়ায় কিছু জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদেরকে। এক্ষেত্রে তিনি তাদের দৈন্যতাকেই দ্বায়ী মনে করছেন। তবে তার বিশ্বাস অতি শীঘ্রই এসব জটিলতা পার করে একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পরিচয় করাতে সক্ষম হবেন।
ইবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পাহাড়ি ও সমতলদের মাঝে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি করে কিভাবে সুশাসনকে এগিয়ে নেওয়া যায়, পড়াশোনাকে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কিভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিখিয়ে গিয়েছেন। আমরা পাহাড়ি ও সমতলের মানুষ মানে আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-কালচার ভিন্নতা আছে কিন্তু আমরা বাংলাদেশি। এই মননকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সুশাসনকে মজবুত করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির মেলবন্ধনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা প্রথম। পাহাড়ি সংস্কৃতি ও বাঙালি সংস্কৃতির অমিল আছে কিন্তু এই ভিন্নতাকে সমন্বয় করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই জাতি গঠনের অন্যতম বটবৃক্ষ। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয় এটা একটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যদিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রযুক্তি বিভাগ রয়েছে। সুতরাং একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আজকের আয়োজন। রাঙামাটি কিন্তু কালচারাল বিশাল সমৃদ্ধ এবং কুষ্টিয়াও কালচারাল ও ঐতিহ্যের অন্যতম হাব বলা হয়। এই সমৃদ্ধ দুই কালচারকে আরও শানিত করার জন্য আমরা এগিয়ে আসব।
মন্তব্য করুন: