প্রকাশিত:
২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানে যাচ্ছে সেখানেই তারা মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করছে।
শনিবার (মার্চ ২) দুপুরে রাজশাহী সেনানিবাসে ‘পাপা বীর এবং দি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট’ এর তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরে সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, বিগ্রেড, ইউনিট, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে।
আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়; দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে। এভাবে আমরা সকলে এক হয়ে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলব। সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে ধন্যবাদ, বার বার ভোট দিয়ে তারা আমাদেরকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে আমরা দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিচ্ছি। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচন করে দেশকে আরও উন্নত করা, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে এখন আর আমাদের কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশকে আজকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেই ভাবে এগিয়ে যাব সামনের দিকে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, ছেলেমেয়েদের জন্য সেই প্রি-প্রাইমারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষ বৃত্তি দিচ্ছি। দেশে-বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ‘বীর গৌরব’ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের দরবারে অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন: