সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
  • সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ দুপুরে
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে লাহোর
  • বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা-রানি
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাছের তেল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০৮

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মাছের তেল। এটা মনে হয় সবারই কম বেশি জানা।

 

বিশেষত যারা হৃদ্রোগে ভুগছেন তাদের যখন সব তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হয় তখন মাছের তেলই তাদের ভরসা।

মাছের তেলে ক্ষতিকারক দিকগুলো কম থাকায় তা উপাদেয়। চুলের স্বাস্থ্য এবং ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এমনকি নানান ধরনের রোগবালাই থেকে রক্ষা করে মাছের তেল।

 

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা মাছের তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন এবং সেই মতো চলেন। কেন না মাছের তেলে যেমন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা আছে তেমন এই তেল রোগবালাইও দূর করে।

 

মাছের তেল আপনাকে কোন দিকে থেকে সুরক্ষিত রাখে

সুস্থ হার্টের জন্য: হার্টকে সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকায় মাছের তেল থাকতে হবে। মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টরল বাড়ায়। ফলে স্ট্রোকের মাত্রা ও ঝুঁকি কমে যায়।

 

স্লিম হতে চান? অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাছ হাইপারটেনশন কমিয়ে দেয় এবং মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ওই গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, ওজন কমাতে যে ডায়েটগুলো মানা হয় তার চাইতে বেশি কাজ করে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মাছের উপস্থিতি।

 

অ্যাজমা প্রতিরোধে: যারা সিভিয়ার হাঁপানি (অ্যাজমা) রোগে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত মাছ খাওয়া। গবেষকরা কয়েকজন হাঁপানি রোগে আক্রান্ত শিশুর ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। এ সময় তারা কিছু শিশুকে বেশি বেশি মাছ খেতে দেন এবং বাকিদের নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে দেন। সেখানে দেখা যায় যে, যেসব শিশু বেশি বেশি মাছ খেয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে এবং অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হলেও তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে না। 

 

ক্যান্সার প্রতিরোধে মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যা স্তন, ক্লোন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারের জন্য সাধারণ কোষগুলোর যে ধরনের বৃদ্ধি হয় তা প্রতিরোধ করে ওমেগা-৩।

 

মাছের তেল নিয়মিত খাদ্য তালিকায় থাকলে আপনার চুলে আলাদা উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। এমনকি চুল ঝরা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং চুল হয় ঝকঝকে সুন্দর।

 

যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য সুখবর হলো এ থেকেও আপনি পরিত্রাণ পেতে পারেন। মাছের তেল ত্বককে করে ঝকঝকে উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময়। 

 

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাছের তেলের বিকল্প নেই। পছন্দের মাছ থেকেই পাওয়া যায় এই সব ধরনের উপকারিতা। 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর