বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর দিলো বিআরটিএ
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আয় কমেছে ১৩ শতাংশ পোশাককর্মীর

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৭ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভুগছেন ৫০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক। এর ফলে ১৩ শতাংশ তৈরি পোশাক কর্মীর আয় কমেছে এবং চাকরির নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। ছুটি ও অনুপস্থিতি বেড়েছে ২৩ শতাংশ শ্রমিকের। এ ছাড়া দক্ষতা কমেছে ৮ শতাংশ শ্রমিকের।


বুধবার ( ৬ মার্চ ) পোশাক শ্রমিকদের জীবনে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিষয়গুলোর প্রভাব নিরূপণ এবং ট্রেড ইউনিয়নের করণীয় নির্ধারণ শীর্ষক জরিপে এ ফলাফল উঠে এসেছে। জরিপটি চালিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

আয় কমেছে ১৩% পোশাককর্মীররাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে আরো বলা হয়, জলবায়ুর প্রভাবে পোশাক শ্রমিকদের প্রায় শতভাগ রোগে আক্রান্ত। গরমে দুর্ভোগ বেড়েছে শতকরা ৬৫ ভাগের, বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতায় নাকাল শতকরা ৪২ ভাগ এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় দুর্ভোগের শিকার শতকরা ২০ ভাগ।


গবেষণা ও জাতীয় সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল তৈরি পোশাক শিল্পে সবুজ সামাজিক সংলাপ উন্নয়নে ট্রেড ইউনিয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি। বিলসের উপপরিচালক ও প্রধান গবেষক মনিরুল ইসলাম প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকার ১৬০টি তৈরি পোশাক কারখানার ৪০২ জন শ্রমিকের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। সরকার, মালিকপক্ষ, ট্রেড ইউনিয়ন ও তৈরি পোশাক শ্রমিকরা এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।


এতে আরো দেখা যায়, পোশাক অঞ্চলগুলোতে কাজ করেন এমন শ্রমিকদের প্রায় ৯৯ শতাংশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এসেছেন। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শতকরা ৩৬ শতাংশ স্থানান্তরিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা মূলত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ফসল উৎপাদন না হওয়া, কীটপতঙ্গের আক্রমণ বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা হ্রাস ইত্যাদি কারণে স্থানান্তরিত হন। এ ছাড়া ৭ শতাংশ নদীভাঙনের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

পরিবেশদূষণের অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যায়, পোশাক শ্রমিকদের মতে পানিদূষণ শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে, বায়ুদূষণ বেড়েছে শতকরা প্রায় ৬৪ ভাগ।


এর ফলে তাঁদের শতকরা ২১ ভাগের মাথা ব্যথা, শতকরা ১৪ ভাগের মাথা ঘোরা, শতকরা ২০ ভাগের ক্লান্তি এবং শতকরা ২৫ ভাগের শ্বাসকষ্ট বেড়েছে বলে জানা যায়।
জাতীয় সংলাপে বক্তারা জানান, তৈরি পোশাক শিল্পে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনে সরকার, স্থানীয় সরকার, মালিকপক্ষ ও ট্রেড ইউনিয়নকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তাঁরা শ্রমিকদের সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড তৈরি করতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রাজা মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মির্জা আসাদুল কিবরীয়া, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক ডা. বিশ্বজিত রায়, জি আই জেড স্টাইল প্রকল্পের কমিশন ম্যানেজার ড. মাইকেল ক্লদে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থ বিশেষজ্ঞ মো. জাকির হোসেন খান প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর