প্রকাশিত:
৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭
ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৪৭ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদকে সভাপতি ও ৪৮ তম ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদুল ইসলাম ইমনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ৪৭ তম ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ আহাম্মেদ।
গত বুধবার ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ৩২তম কাউন্সিল শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রুমে দুই দিনব্যাপী কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি করা হয়। কাউন্সিল শেষে নতুন কমিটিকে শপথ পাঠ করান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটিতে ১৫ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। দুইটি সদস্য পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে যা পরবর্তীতে কাজের ভিত্তিতে কো-অপ্ট করা হবে।
জাবি ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন- মুক্তারুল ইসলাম অর্ক, রায়হান শরীফ প্রিন্স, কাওছার আহমেদ।
এ কমিটিতে সহকারী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাসিব জামান, ইসহাক সরকার, সাইফুল ইসলাম।
কমিটির কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন কাইমুল হক। দপ্তর ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তানজিম আহমেদ, মাঈশা নূসরাতকে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন সাইদুল।
নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাব্বির হোসেন ও ফাতেমাতুজ্জোহরা।
মানব কিংবা প্রকৃতি, জুলুম বন্ধ হোক সবার প্রতি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ৩২তম কাউন্সিল।
জাবি ছাত্র ইউনিয়নের নতুন সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ উধাও। অনিরাপত্তার কালো ছায়া গ্রাস করেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় একটি ছাত্র সংগঠন এখানে অপরাজনীতির মহল গড়ে তুলেছে। আবাসন সংকট, ডাইনিংয়ের খাবারের মানহীনতা, উইকেন্ড কোর্স চালু, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস চলছে। এসব উত্তরণে, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্র ইউনিয়ন তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে প্রশাসন তথা রাষ্ট্রকে কল্যাণকর প্রগতিমুখী পথে চলতে বাধ্য করবে।’
মন্তব্য করুন: