প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪১
সূচনালগ্ন থেকে ২৫ বছর পূর্ণতা পেয়ে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ৯মার্চ ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সমবেত হয়। এতে বিভাগের ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় হাজার খানিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ১ মিনিট নিরবতা পালন, সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত, অতিথিদের সম্মাননা প্রদান এবং বিভাগীয় ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে তাপসী রাবেয়া এবং ওমর ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুজ্জামান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুরুল হক।
বিভাগের ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষের অ্যালমনাই আলী নূর জামান বলেন, আমার মনে হয় শুধু আমি না সবাই এরকম একটা দিনের অপেক্ষা করে। পুরাতন, নতুন, সিনিয়র, জুনিয়র সবার সাথেই একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পুরাতন নতুন শিক্ষার্থীরা একত্রিত হতে পেরেছি। এ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী হিসেবে আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি। সব থেকে আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে আমাদের ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সর্বাধিক ২৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। আমরা ব্যক্তিগত জীবনে, প্রফেশনাল লাইফে অনেক ব্যস্ত এজন্য চাইলেও আমরা আসতে পারি না, আর কেউ ব্যক্তিগতভাবে আসলেও সবাইকে এভাবে পাওয়া যাবে না। ক্যাম্পাসের সবকিছুই মনে পড়ে। যেমন আমরা বন্ধুরা ডায়নাতে বসে আড্ডা দিতাম সেসব স্মৃতি আমাদের মনে পড়ছে। দিনটি উপভোগ করছি সবাই মিলে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজকের স্মার্ট বাংলাদেশে এই বিভাগের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের কারিকুলাম অনুযায়ী অ্যালমনাইদের বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ করে দিতে হবে। আজকের অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে এই বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা সমৃদ্ধ করবেন বলে আমরা আশা করি। যারা এই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা নতুনদের সময় দিবেন পাশে থাকবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলের মাঝে বন্ধন তৈরি হবে। আমরা শুধু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করবো না বরং আমরা নিজেদের মানসম্মত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকাকে বিশ্বের সামনে আপনারাই তুলে ধরবেন।
মন্তব্য করুন: