প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৪
(নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে প্রসাশনের ইফতার পার্টি করার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ গণ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে যোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
গত সোমবার (১১ মার্চ) নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরুপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫℅ মুসলমানের দেশে এ ধরণের নোটিশ বড় ধরণের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল।
বাংলাদেশ একটি অস্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫℅ মুসলমানের দেশেই সংখ্যালঘুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারী অর্থায়নে যাতে বড় পরিসরে কোনো ইফতার পার্টির আয়োজন না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও নিরৎসাহিত করেছেন। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সেটাকে এমন বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন যে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের অর্থায়নে এসব ইফতারের আয়োজন করে থাকি। কিন্তু সেখানে ও যদি বাধা আসে আমরা সাধার শিক্ষার্থীরা কখনো তা মেনে নিব না। আমরা এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আজকে এখানে গণ ইফতার এর আয়োজন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে যে ভবিষ্যতে আদেশ জারি বা নোটিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।
মন্তব্য করুন: