প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯
বর্তমানের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপ নির্ধারণে যুব সমাজকে শিক্ষিত করে তোলা এবং প্রতিভার বিকাশে মনোযোগী হওয়া জরুরি বলে মনে করে রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম ৷
রসাটমের মানবসম্পদ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক তাতিয়ানা তেরেন্তিয়েভা সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব যব উৎসবে ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞানে বৈশ্বিক সহযোগিতা বর্তমান বিশ্বের যুবকদের সম্ভাবনার ব্যবহার’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।
এ আলোচনায়য় শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সক্রিয় যুব সমাজ প্রতিনিধিরা।
তাতিয়ানা তেরেন্তিয়েভা বলেন, আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নের এমন একটি ইকোসিস্টেম প্রস্তুত করছি যার মূলে রয়েছে পার্টনারশিপ। এক্ষেত্রে, আমরা ডিজিটাইজেশন এবং গ্রিনিং অব প্রফেশনের মতো ট্রেন্ডগুলোকে বিবেচনা করছি। ভবিষ্যতের জন্য কম্পিটেন্সি উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করছি আমরা, যেমন STEM and 4C সামাজিক দক্ষতা (কোঅপারেশন, ক্রিয়েটিভিটি, কম্যুনিকেশন এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং)। আমাদের ইকোসিস্টেমে যুক্ত রয়েছে স্কুল, অভিভাবক, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরিদাতা এবং আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
তাতিয়ানা উল্লেখ করেন যে, রসাটম ইকোসিস্টেম সারাবিশ্বের জন্যই উন্মুক্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বিভিন্ন দেশের যুবকদের অংশগ্রহণে কয়েকটি প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে আরটেক ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক শিফট, অ্যাটম স্কিলস প্রফেশনাল স্কিলস চ্যাম্পিয়নশিপ, ইমপ্যাক্ট টিম ২০৫০ এবং নতুন শুরু করা ব্রিকস-ইয়া (BRICS YEA) প্ল্যাটফর্ম।
তিনি রসাটমের ফ্ল্যাগশিপ শিক্ষার প্রকল্প অবনিন্সক টেকের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। রাশিয়ার অবনিন্সকে অবস্থিত এটি পারমাণবিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিষয় ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও শিক্ষাকেন্দ্র। পার্টনার দেশগুলোতে দক্ষ পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই সেন্টারটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রসাটম সমর্থিত শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থাগুলো। কেন্দ্রটির মাধ্যমে রাশিয়া এবং রাশিয়ার বাইরে বিভিন্ন দেশে রুশ ডিজাইনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জনশক্তির প্রশিক্ষণ এবং একইসঙ্গে বৃহৎ আকারের বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
২০৩০ সাল নাগাদ অবনিন্সক টেক এ দশ হাজার রুশ এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার এবং নিউক্লিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দান করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রসাটমের তরুণ বিজ্ঞানী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ইকাতেরিনা সলন্সেভা জানান যে, রসাটম এবং তার সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা শিক্ষার ন্যূনতম ২০ শতাংশ দখলে নিতে চায়।
রসাটম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি কম্যুনিটি পরিচালনা করে থাকে। এর লক্ষ্য হলো, পরমাণু শিল্পের স্বার্থে উচ্চশিক্ষা, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং অতিরিক্ত পেশাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডের সমন্বয় বিধান করা।
মন্তব্য করুন: