প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮
সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে রংপুর নগরে। সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি ৫০ টাকায়ও কেনা যাচ্ছে। পিকআপ ভ্যানে করে বিক্রি করা এই গরুর মাংস দুপুরের মধ্যেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা গ্রুপের পক্ষে মমিনুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক নামের দুই ব্যক্তি এই মাংস বিক্রির উদ্যোক্তা। বাজার থেকে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমে এই মাংস বিক্রি শহরে বেশ সাড়া ফেলেছে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রমজান মাসজুড়ে চলবে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই কার্যক্রম। আজ (১৩ মার্চ ) বুধবার পিকআপ ভ্যানে রংপুর নগরের দুটি স্থানে এই কার্যক্রম চলেছে। স্থান দুটি হলো শহরের লালকুঠি ও জিলা স্কুল মোড়। (১৪ মার্চ ) বৃহস্পতিবার থেকে কাচারি বাজার, কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড়, লালকুঠি মোড়, জিলা স্কুল মোড়—এই চার স্থানে বিক্রি করা হবে। আবার একটি পিকআপ ভ্যান শহরের উল্লেখযোগ্য স্থানে ঘুরে ঘুরেও মাংস বিক্রি করছে।
আজ দুপুরে শহরের লালকুঠি মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানের দুই দিকে খোলা। দুই অংশ দোকানের ঝাঁপের মতো। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি গাড়ি। গাড়িতে একটি রেফ্রিজারেটরও আছে। গাড়ির ভেতরেই বড় টুকরা করে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন মাংস কাটছেন, অন্যজন ব্যাগে ভরে দিচ্ছেন। শুধু হতদরিদ্র পরিবারই নয়, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এখান থেকে গরুর মাংস কিনছেন।
ছোট ছোট কয়েক টুকরা মাংস ৫৫ টাকার মধ্যে কিনেছেন হতদিরদ্র পরিবারের এক নারী। সঙ্গে তাঁর সন্তানও রয়েছে। ৫৫ টাকার মধ্যে মাংস কিনতে পেরে ওই নারী খুবই খুশি। রহিমা আক্তার নামের ওই নারী বলেন, ‘এত কম টাকাত কয়েক টুকরা গোস্ত কিনবার পাছি, এইটাই হামার আনন্দ।’
এই স্থানে উদ্যোক্তা আবদুর রাজ্জাক নিজেই তদারকি করছেন। এর পাশে চেয়ারে বসে হিসাব করছেন এক নারী। পথ দিয়ে যেতে মানুষজন দাঁড়িয়ে দেখছেন। কেউ কিনছেন, কেউবা বাহবা দিচ্ছেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, একটি পিকআপ ভ্যানে একটি গরুর মাংসই থাকছে, তা–ও আবার দেশি জাতের, যার ওজন ১২০ কেজি। বাজার থেকে ১২০ টাকা কম দরে ৬৮০ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম পর্যন্ত বিক্রির কথা থাকলেও মানুষজনের আবদারে ৫০ টাকার মাংসও ওজন করে বিক্রি করা হচ্ছে। কাউকে বিমুখ করা হচ্ছে না। আজ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৮০ টাকায়।
রিকশাচালক রফিকুল মিয়া ২৫০ গ্রাম মাংস কিনে খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘বাজারে গেইলে এত কম ওজনের মাংস পাওয়া যাবে না। তার ওপর বাজারের মাংসে খালি পানি ছিটায়। এতে করি মাংসের ওজনও বাড়ি যায়। আর এই জায়গাত একদম ফ্রেস মাংস কিনবার পারলাম। এই মাংস দুই সন্ধ্যা খাওয়া যাইবে।’
রোজার প্রথম দিন থেকে দুটি গাড়িতে এই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। (১২ মার্চ ) মঙ্গলবার এই গাড়ি থেকে নগরের প্রেসক্লাব চত্বর, জিলা স্কুল মোড় ও লালকুঠি মোড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: