প্রকাশিত:
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬
নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ সার্টিফিকেট (ফায়ার লাইসেন্স) না থাকায় বরিশালে একটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিচালিত এক অভিযানে রেস্তোরাঁটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর রেস্তোরাঁটি বিধি অনুযায়ী চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাটেনারি কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ আহম্মেদ জুয়েলের নেতৃত্বে নগরের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কস্তুরী রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়। এ সময় রেস্তোরাঁটি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার সঠিক নিয়ম বা কোনো বৈধ সার্টিফিকেট দেখাতে না পারায় বিধি অনুযায়ী জেল-জরিমানার বিষয় জানানো হয়। পরে রেস্তোরাঁ সংশ্লিষ্টরা তাদের ভুল ও অপরাধ স্বীকার করেন এবং পরে তারা রেস্তোরাঁর প্রধান ফটকে তালা মেরে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কাছে চাবি তুলে দেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশালের সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক দপ্তরের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ শান্তনু ও থানা পুলিশের একাধিক টিম।
সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাটেনারি কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যাতে এই নগরে না ঘটে, সে লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেসি দপ্তর থেকে টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা সেই টিমে আছেন।
তিনি বলেন, নগরের যে-সব প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তারা যেন নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় আসেন। অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রোধে এই টিম নগরে প্রতিনিয়ত কাজ করবে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ মোবাইল কোর্ট মাঠে নেমেছে।
তিনি আরও বলেন, কস্তুরী রেস্তোরাঁ নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ লাইসেন্স (সার্টিফিকেট) এর জন্য আবেদন করেছে। তবে তারা এখনও সেটি পায়নি। তাই অস্থায়ীভাবে রেস্তোরাঁটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স পেলে তখন খোলার ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন: