প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৮
কুরআন কারীমের তিলাওয়াতে রয়েছে বহুবিধ কল্যাণ ও উপকারিতা। জাগতিক, পারলৌকিক, বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক। পৃথিবীর বুকে কুরআন কারীম একমাত্র কিতাব, যার তিলাওয়াতে রয়েছে হরফে হরফে নেকী। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পড়ল তার জন্য রয়েছে একটি নেকী। আর একটি নেকী দশ নেকী সমতুল্য। নবীজী বলেন, আমি বলছি না যে, আলিফ লাম মীম- একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। -তিরমিযী : ২৯১০।
অতএব আলিফ লাম মীম তিলাওয়াত করলে কমপক্ষে ত্রিশ নেকী লাভ হবে, ইনশাআল্লাহ। লক্ষ করার বিষয় হল, নবীজী দৃষ্টান্ত স্বরূপ আলিম লাম মীম উল্লেখ করেছেন। আর এটি এমন এক শব্দ, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। বুঝা গেল, কুরআন মাজীদের অর্থ না বুঝে পড়লেও রয়েছে অনেক সওয়াব, অনেক ফায়দা। আর যদি কেউ বুঝে বুঝে উপলব্ধির সাথে কুরআন তিলাওয়াত করে তাহলে আল্লাহ তাকে আরো কত দেবেন, তা তো আল্লাহ পাকই ভালো জানেন!
কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলতের বিষয়টি হাদীসের এ বিবরণ থেকেও সুন্দর বুঝে আসে-
উকবা ইবনে আমের রা. বলেন, একবার আমরা সুফফায় অবস্থান করছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে এলেন। বললেন, আচ্ছা বল তো, কেউ বুতহান অথবা আকীকে গিয়ে উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট দুটি উটনী নিয়ে আসবে। কারো উপর জুলুম করে নয়। কোনো অপরাধ করে নয়। কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে নয়; খুবই ন্যায়সঙ্গতভাবে। তোমাদের কে আছে এমনটি চাইবে? সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরকম হলে তো আমাদের সবাই তা চাইবে। নবীজী বললেন, মসজিদে গিয়ে ইলম শেখা অথবা কুরআনের দুটি আয়াত পড়া, সেই দুই উটনী অপেক্ষা উত্তম। তিন আয়াত পড়া তিন উটনী থেকে উত্তম। চার আয়াত পড়া চার উটনী থেকে উত্তম। - মুসলিম : ৮০৩।
তৎকালীন আরবে উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট উটনী ছিল অনেক মূল্যবান সম্পদ। নবীজী পার্থিব এ মূল্যবান সম্পদের তুলনা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন পরকালীন বিবেচনায় কুরআনের একেকটি আয়াত পড়া-শেখা কত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পবিত্র রমজানুল মোবারকে বরকতময় কুরআন বেশি বেশি তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ নৈকট্যপ্রাপ্ত মোবারক বান্দাদের কাফেলায় শরীক করে নিন- আমীন।
মন্তব্য করুন: