প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৯
বগুড়ার শেরপুরে দুটি অবৈধ ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম ও আবু নাঈমকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী।
জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় ফাহিম সিএনজি পাম্প ও বিশালপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায় ফারজানা ফিলিং স্টেশনের ব্যানারে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। ফিলিং স্টেশনগুলো লাইসেন্সবিহীন, ঝুকিপূর্ন ও নিয়মতান্ত্রিক না হওয়ায় ২ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয় এবং ফাহিম সিএনজি পাম্পের ম্যানেজার ভবানীপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম ও ফারজানা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী বিশালপুর ইউনিয়নের উদগ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে আবু নাঈমকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী বলেন, ভবানীপুর এলাকায় ফাহিম ফিলিং স্টেশন লাইসেন্স বিহীন ভাবে ট্রাকের কেবিনে সিরিজ সিএনজি ট্যাংক স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছিল যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। সেখানে প্রস্তাবিত ম্যাপ ও টেকনিক্যাল রিকয়ারমেন্টের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। নেই কোন টেকনিশিয়ান। একইভাবে রানীরহাট এলাকায় লাইসেন্সবিহীন ভাবে ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল ফারজানা ফিলিং স্টেশন।
এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি এসএম রেজাউল করিম ফিলিং স্টেশনের অফিস রুমে গিয়ে দেখেন একই রুমে জেনারেটর, দশটি সিএনজি সিলিন্ডার, পুরো অফিসের সকল বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার। এ সময় ফায়ার সেফটি মেজার সহ বিষ্ফোরক অধিদপ্তর বা এনার্জি রেগুলেটিং অথোরিটি বা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কাগজই তারা উপস্থাপন করতে পারেনি।
এই সকল অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠান কে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এমনকি বৈধ কাগজপত্র না হওয়া পর্যন্ত পাম্পগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন: