প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৩, ১৯:৪৭
নেত্রকোণার পুর্বধলা উপজেলার জামধলা বাজার সংলগ্ন কৈলাটি ফেরিঘাটে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজদের একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় আরো ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর হতে নিখোঁজদের লাশের অপেক্ষায় কংস তীরে অবস্থান করছেন স্বজনেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌকায় থাকা অপর যাত্রী পুর্বধলা উপজেলার কুড়িকুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র সিদ্দিকুর রহমান রিটন জানান, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় জামধলা বাজার সংলগ্ন কৈলাটি ফেরিঘাটে অবস্থানরত নৌকায় প্রায় ১৫-১৬ জন যাত্রীদের সাথে তিনিও বৈঠা দিয়ে নৌকা চালিয়ে জামধলা সীমানা থেকে কৈলাটি সীমানায় যাচ্ছিলেন। নদীর প্রায় মাঝামাঝি যাওয়ার পর পরই ¯্রােতের পাকে নৌকাটি তলিয়ে যায়। এ সময় ঘাটে অবস্থানরত দুইটি ট্রলার নিয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় দুর্গাপুর উপজেলার ডেউটোকন গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র মাহবুব (১২) একই গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার পুত্র স্বপন মিয়া (২৬) ও আগমারাকেন্ডা গ্রামের সাহের আলীর পুত্র সোহেল (২৪) পানিতে তলিয়ে যায়। নৌকা ডুবিতে তার সাথে থাকা বাইসাইকেল পানিতে তলিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
ভোর রাতে নদীতে মাছ ধরার জালে মাহবুব এর মরদেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরি দলের তিনটি ইউনিট নিখোঁজ স্বপন ও সোহেলের লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
কৈলাটি ঘাট পাড়ের চা বিক্রেতা নিজাম জানান, ঝানজাইল বাজারের দিন হওয়ায় ফিরতি দুইটি ট্রলার ঘাটেই ছিল। ফলে দ্রুত নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় নিখোঁজ বা হতাহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেত।
নেত্রকোণা ফায়ার ষ্টেশনের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, সকাল ৮ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরী দলের ৩টি ইউনিটের সদস্যরা নিখোঁজদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
স্থানীয় কাগৈরগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবিরুল আহম্মেদ বলেন, নৌকা ডুবির সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শন করি। ঘাটটি পারপারে স্থায়ীভাবে নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন: