প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০
সিরিজ নির্ধারণ ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলকে দুই শ রানের নিচে আটকে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত ধরে খেলা জানিথ লিয়ানগেকে থামাতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। লঙ্কান ডানহাতি ব্যাটার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। এতে ২৩৫ রানের পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা।
টস হেরে নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আশা রাখি তারা (বোলার) আজ অসাধারণ কিছু করে দেখাবে।’ অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে সময় নেননি তাসকিন আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারে ফেরান আগের ম্যাচ জয়ের নায়ক পাথুন নিশাঙ্কাকে। ফুললেংথের বল, ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন ব্যাটার।
আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরোর সিদ্ধান্ত রিভিউ করারও প্রয়োজন বোধ করেননি। তবে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফেরান তাসকিন।
১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস আর চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাটে চড়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩৯ রান। পরের ওভারে মুস্তাফিজ হাত ঘোরাতে এসে নিজের দ্বিতীয় বলে সফলতা পান। ১৫ বলে ১৪ রানে থাকা সাদিরা ইনসাইড এজে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দেন।
এরপর মেন্ডিসকে সঙ্গ দিতে আসেন চারিথ আশালাঙ্কা। এই জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ঘুরেও দাঁড়ায় সফরকারীরা।
যদিও এই জুটিকে ইনিংস বড় করতে দেননি রিশাদ হোসেন। তাইজুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে ঢুকেই রিশাদের বাজিমাত, নিজের প্রথম ডেলিভারিতে বিদায় করেন ২৯ রানে থাকা মেন্ডিসকে। ওয়ানডেতে এটি তার প্রথম উইকেট। মেন্ডিসের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটার জানিথ লিয়ানাগেকে নিয়েও জুটি জমিয়ে বসেন আশালাঙ্কা। তবে তারা ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই মুস্তাফিজ ব্রেকথ্রু আনেন। ফেরান ৩৭ রান করা আশালাঙ্কাকে।
নতুন ব্যাটার দুনিথ ভেল্লেলেগে মুস্তাফিজ-শরিফুলের পেস আগুনের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন। ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটার প্রথম রানের দেখা পান ১৬তম বলে। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার এই ধীরগতির ইনিংস। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। পরিস্থিতি বিবেচনায় লঙ্কানরা দুই শ রানের মধ্যে থামবে বলে মনে হচ্ছিল।
তবে অন্যপ্রান্তে ধরে খেলে নিজের পাশাপাশি দলের রান বাড়াতে থাকেন লিয়ানগে। শতক হাঁকিয়ে ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজি থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৩৫ রান। তাসকিন নেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ চিন্তার কারণ অবশ্য একাধিক ক্রিকেটারের চোট। মুস্তাফিজ ও জাকের আলী স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া লঙ্কান ইনিংসে চোট পান এনামুল হক ও সৌম্য সরকার।
মন্তব্য করুন: