বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর দিলো বিআরটিএ
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

খাঁটি ও পরিপূর্ণ রোযা

এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ

প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩২

তত্ত্বজ্ঞানী মাশায়েখ ও বুযুর্গানে দ্বীন পরিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রোযার জন্য কুরআন-হাদীসের সার-নির্যাসস্বরূপ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। প্রত্যেক রোযাদারের কর্তব্য এইগুলোর প্রতি বিশেষ যত্নবান হয়ে রোযাকে খাঁটি করে নেওয়া।

১. চক্ষুর হেফাযতঃ যেন কোন নাজায়েয জিনিসের প্রতি দৃষ্টি না পড়ে। এমনকি রোযা অবস্থায় নিজের বিবির প্রতিও খাহেশাতের দৃষ্টি না করা। অনুরূপ খেল-তামাশা ইত্যাদির প্রতি এবং অহেতুক কোন বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত না করা।

২. জবানের হেফাযত: মিথ্যা, চোগলখুরী, বেহুদা কথাবার্তা, গীবত-পরনিন্দা, অশ্লীল কথা, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদি সবকিছু থেকে বিরত থাকা এবং বেঁচে চলা।

৩. কানের হেফাযত : যাবতীয় নিন্দনীয় বিষয়, যা মুখে বলা নাজায়েয, সেগুলোর প্রতি কান লাগানোও নাজায়েয-এগুলো থেকে বেঁচে থাকা। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

"গীবতকারী এবং শ্রবণকারী উভয়ই গোনাহের মধ্যে সমান অংশীদার হয়।"

৪. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখা: যেমন হাতকে নাজায়েয বস্তু ধরা থেকে, পা-কে নাজায়েয কাজের দিকে চলা থেকে, পেটকে সন্দেহযুক্ত খাবার থেকে মুক্ত রাখা ইত্যাদি।

৫. হালাল ইফতারীও পেট ভর্তি করে না খাওয়াঃ কেননা, এ দ্বারা রোযার আসল উদ্দেশ্য অর্থাৎ কামশক্তি ও পশু-প্রবৃত্তির দমন এবং নূরানী ও আধ্যাত্মিক শক্তি বর্ধনের বিষয়টি নষ্ট হয়ে যায়।

৬. সর্বদা মনে মনে ভয় রাখা যে, না জানি আমার রোযা কবুল হচ্ছে কি-নাঃ

বস্তুতঃ প্রত্যেক আমলের ব্যাপারেই এই খেয়াল রাখা চাই যে, আমার দ্বারা এমন কোন ত্রুটি বা অন্যায় হয়ে গেল কি-না, যদ্দরুন আমার আমল আমার মুখের উপর নিক্ষেপ করে দেওয়া হয়-যেমন হাদীস শরীফে এইরূপ বর্ণিত হয়েছে।
সূত্র - ফাযায়েলে আমাল।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরিপূর্ণ শুদ্ধতার সহিত রমযানের রোযা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর