প্রকাশিত:
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩০
এক বছর আগে ঠিকাদারের মাধ্যমে ‘বিটিআই’ আমদানি নিয়ে কেলেঙ্কারির পর এবার এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে সরাসরি নিজেরাই জৈব এ কীটনাশক আমদানি করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, আমরা প্রথমে বিটিআই এনেছিলাম। একটা ঠিকাদারের মাধ্যমে। এটার মূল্য ছিল ৮৫ লাখ টাকা। টেস্ট কেস হিসেবে বিটিআই চেয়েছিলাম। কিন্তু বিটিআই দেখেছি পাঁচ টন। যে ঠিকাদার নিয়ে এসেছেন সে এটাকে মিস ডিক্লিয়ারেশন করেছে এবং যা ইচ্ছে তাই করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সবখানে বলেছেন যে, আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা বানায় ফেলেছি। পাঁচ টনের মূল্য ছিল ৮৭ লাখ টাকা। সেই পাঁচ টন বিটিআই আদালতের নির্দেশনার কারণে ব্যবহার করিনি। যে ঠিকাদার সে একবার জেল দেখায়, একবার জামিন নেয়, এটা আদালতের ব্যাপার।
‘আমরা এজন্য এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সরাসরি এ প্রথমবারের মতো বিটিআই আমদানি করতে যাচ্ছি। আজকে এখানে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন ওনারাও বলেছেন যে কীভাবে অর্গানিক, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা যায়। বিটিআই হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে উত্তম প্রস্তাব। এটি নিয়ে আমরা অলরেডি কাজ করেছি। ’
মেয়র বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গুলশান লেক যেদিন প্রথম পরিষ্কার করি সেখান থেকে কোটি কোটি মশা বের হয়ে গেছে। বুধবার(২০ মার্চ) যাবো উত্তরাতে রাজউকের খাল পরিষ্কার করার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের যার যার সংস্থা, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন পেট্রোবাংলার নিচে থেকে লার্ভিসাইড পেয়েছি, জরিমানা করেছি পাঁচ লাখ টাকা করে। গতবার জাপান গার্ডেনকে জরিমানা করেছি তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
‘আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। লেটস ওয়ার্ক টুগেদার। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমরা অবশ্যই ফল পাবো। আমরা আগের থেকে ভালো করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার এবং সব সংস্থাকে নিয়ে সিটি করপোরেশন কাজ করবো। ’
হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবো। প্রতি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে তারা যেন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখেন।
তিনি বলেন, রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এ ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন: