প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৯
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে, এটাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, এবার আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ, জনগোষ্ঠী হবে দক্ষ, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা হবে স্মার্ট সোসাইটি। ২০৪১ সালে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব, স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে এটাই আমাদের প্রত্যয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি, তার কারণ পাকিস্তানিরা ’৭১ এর ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল, সকল শহীদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। আর যারা এই গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের প্রতি জাতি ঘৃণা জ্ঞাপন করছে। তাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড আর যেন না হয়। তবুও বিশ্বের দিকে যখন তাকাই প্যালেস্টাইনিদের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশ তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্যালেস্টাইনিদের সাথে আছি, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। যুদ্ধ মানুষের কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। কারণ যুদ্ধকালীন অবস্থা কী, তা আমরা জানি। এমনকি আমরা যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, সেখানে আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি, আমরা সংঘাতে যাইনি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, জাতির পিতা যে নীতিমালা আমাদের দিয়ে গেছেন সেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি এবং সেটা আমরা পালন করে যাব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ, তবু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের দেশে কিছু ব্যক্তিরা অগ্নিসন্ত্রাস, খুন-খারাবি অনেক কিছু করে থাকে, তাদের সুমতি হোক এটাই আমরা চাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে যে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে, উন্নতি করতে পারে তার প্রমাণ আমরা করেছি ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে আজকে বাংলাদেশকে অন্তত বিশ্বে একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক, আমাদের দেশের মানুষ বিশ্বে মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলুক, সেটাই আমরা চাই, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন: