প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৫
বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় সমুদ্র ডুবে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায় তাদের হাতে আসা একাধিক ভিডিওতে ফুটেজে দেখা যায় বেইত লাহিয়ায় সমুদ্র সৈকতে লোকজন ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।
এই সময় কয়েক জনকে পানি থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক শুশ্রূষা (সিপিআর) দিচ্ছে।
আবু মুহাম্মদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে জানায়, সেদিন সব ত্রাণ সমুদ্রে পড়েছে, সেখানে প্রবল স্রোত ছিল, সাঁতার না জানা কিছু লোক সেই ত্রাণ আনতে গেলে পানিতে ডুবে যায়।
তিনি বলেন, মানুষ ক্ষুধার্ত তারা খেতে চায়, কম বয়সীরা দৌড়ে যেতে পারে আমরা তো পারিনা, আমি কিছুই পাইনি। আমরা অবিলম্বে এই অসম্মানজনক ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি বাতিল করে ত্রাণ প্রবেশে স্থল সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
পেন্টাগন জানায়, সোমবার (২৫ মার্চ) গাজায় বিমানের সাহায্যে ফেলা ১৮টি ত্রাণবান্ডিলের মধ্যে ৩টি প্যারাসুটের ত্রুটির কারণে পানিতে পড়ে গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয় গাজার উত্তরাঞ্চলে ভূমধ্যসাগর তীরের কাছে। এ সময় ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে নিহত হন ১২ জন এবং সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৬ জন।
গাজায় ইসরাইল এখনো আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলেছে, প্রয়োজনীয় ত্রাণের মাত্র এক পঞ্চমাংশ গাজায় প্রবেশ করছে। ফলে উপত্যকাটি এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস অনুরোধ করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা বন্ধ করে সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেসব দূর করতে পদক্ষেপ নিন।
মন্তব্য করুন: