বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের কঠোর শাস্তি হবে
  • ২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর দিলো বিআরটিএ
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্মদিন আজ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৩০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পরপর তিন মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ৬৯তম জন্মদিন শনিবার (৩০ মার্চ)। তিনি ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এবং জাহানারা হকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।


আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিশ্বস্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাইতে ভারতে প্রবেশকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার মা জাহানারা হক ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ।

আনিসুল হক ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে ও লেভেল সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড লেভেল (এ লেভেল) সম্পন্ন করেন। এ লেভেল শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবিতে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি এলএলএম সম্পন্ন করেন। আনিসুল হক ১৯৮৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নূর আমতুল্লাহ রিনা হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি তার স্ত্রী ঢাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার কোনো সন্তান নেই।

আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে ও ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নিবন্ধিত হন ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হন।

বাবার মৃত্যুর পর আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলার চিফ স্পেশাল প্রসিকিউটর হন। তার আইনজীবীর অধীনেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ হয় এবং এ দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। আনিসুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনের চিফ কাউন্সেল ও স্পেশাল প্রসিকিউটর ছিলেন। আনিসুল হক ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্কিত পিলখানা হত্যা মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১২ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১০ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য ও ১১ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর