প্রকাশিত:
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৮
ইতিকাফ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি সুন্নাত আমল। ফরজ ইবাদত ব্যতিত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যেসব ইবাদত করা হয় তার মধ্যে ইতিকাফ একটি অন্যতম ইবাদত। রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ মহল্লার জামে মসজিদে কোনো রোজাদার মুসলিম ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে এই সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। তাই এলাকাবাসীর কেউ যদি ইতিকাফ না করে তাহলে সুন্নাত ছেড়ে দেয়ার কারণে সবার সুন্নাত তরকের গোনাহ হবে।
অবশ্যই প্রত্যেক ইবাদতের জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সুতরাং ইতিকাফের জন্যও কিছু করণীয় ও বর্জনীয় রয়েছে :-
ইতিকাফ অবস্থায় যা করণীয়:
১. বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা।
২. নফল ইবাদত করা।
৩. দ্বীনি আলোচনা করা ও শোনা।
৪. আল্লাহর জিকির করা।
৫. দোআ করা।
৬. ধর্মীয় বিভিন্ন কিতাব পাঠ করা।
৭. কোরআন তিলাওয়াত করা।
৮. ইস্তেগফার, তাসবিহ, তাহলিল ও মোরাকাবা ইত্যাদিতে নিয়োজিত থাকা।
ইতিকাফ অবস্থায় যা বর্জনীয়:
১. একেবারেই চুপচাপ বসে থাকা।
২. ঝগড়াঝাঁটি বা অনর্থক কথাবার্তা বলা।
৩. গিবত বা পরনিন্দা করা।
৪. মসজিদে বসে ব্যবসায়ী মালামাল ক্রয়বিক্রয় করা।
৫. প্রয়োজন ব্যতীত ইতিকাফের স্থান থেকে বের হওয়া।
লেখক : মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন: