প্রকাশিত:
১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৮
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতি পরিচালনার জন্য গঠিত এডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করেছে সরকার।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে জারিকৃত এক অফিস আদেশে এ কমিটি বাতিল করা হয়।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিধি-বহির্ভূতভাবে কমিটির নিয়োগ, কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ তাঁতিরা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এডহক কমিটি বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতি পরিচালনার জন্য ২০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যা ২০২৩ সালে পুনরায় আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়।
তাঁতি সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এ তাঁতি সমিতির গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো বর্ণনা করা আছে। বিধিমালা এর দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের ৪ এর বিধান অনুসারে ‘জাতীয় পর্যায়ে একটি মাত্র তাঁতি সমিতি থাকবে। মাধ্যমিক তাঁতি সমিতিসমূহের সমন্বয়ে জাতীয় তাঁতি সমিতি গঠিত হবে। জাতীয় তাঁতি সমিতির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে’। অর্থাৎ উপবিধি অনুযায়ী মাধ্যমিক তাঁতি সমিতির একজন করে প্রতিনিধি জাতীয় তাঁতি সমিতির সদস্য হবে।
জাতীয় তাঁতি সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এর পঞ্চম পরিচ্ছেদ এর ২২(ঘ) এর বিধান মতে যথাসময়ে নির্বাচন না হলে তথা নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত না হলে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এডহক কমিটি নিযুক্ত করতে পারেন। সে অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান দুই বছরের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু ৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এডহক কমিটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এতে সাধারণ তাঁতি ও তৃণমূল তাঁতি নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একে অনিয়ম হিসেবে অবহিত করে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। তারা এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও আন্দোলন শুরু করেন।
মন্তব্য করুন: