প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪২
“আমি ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। প্রতিবেশী ও সবাই আমার থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে। এডমিশন দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজম্যান্ট বিভেগে পড়ার সুযোগ পাই কিন্তু আমার ছোট থেকে বিচারক হওয়ার ইচ্ছা ছিলো, ইবির আইন বিভাগে সুযোগ হয়। কিন্তু এই ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি আমার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়” এভাবেই নাগরিক সংবাদকে বলেছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মিজান (২১)।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থাও তেমন একটা ভালো না আব্বু কৃষি কাজ করে, পরিবারের ৫ সদস্যর মধ্যে দুই আপুর বিয়ে হয়ে গেছে, আমি সবার ছোট কোন বড় ভাই নাই, আব্বুর বয়স ষাটোর্ধ্বে তার পরও অনেক কষ্টে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু এখন এই রোগটা ধরে পড়ে একেবারে সব উলট-পালট হয় গেছে, বলেছিলেন মিজান।
দ্বীপকালারমোড়ল এলাকার কর্ণফুলী উপজেলার চট্টগ্রাম জেলায় তার বাড়ি।
৫ জন সদস্যদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মনছুর আলীর সন্তান।
গত ৩-৪ মাস ধরে অসুস্থ কিন্তু রোগটা কোনভাবে ধরতে পারতেছিল না। পরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ১ মাস ৬ দিন মতো ভর্তি থাকার পর গত ৪-৫ দিন আগে হজকিং লিম্ফোমা নামে একধরনের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমান চট্টগ্রাম শহরে পাসপোর্ট বানানোর উদ্দেশ্যে অবস্থানরত বলে জানান তার পরিবার।
চিকিৎসকরা বলেছেন, মিজানের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই মোটা অংকের ব্যয়ভার বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। ভারতে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে হবে। তাই তার চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহে কাজ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও বন্ধুরা।
মিজানের পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এই ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চেয়েছেন রোগীর পরিবার।
মিজানের এক সহপাঠী বলেন, আমরা কি পারি না, মেধাবী এ শিক্ষার্থীর মুখে আবার হাসি ফুটাতে? আমরা কি পারি না স্বাভাবিক জীবন নিয়ে তার স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখতে? মিজানের দিকে আমরা সাহায্যের হাত বাড়াই, তাকে মরণব্যাধি থাবা থেকে মুক্ত করি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
০১৮২২৮৮০৭৩৯ (বিকাশ)
০১৮২৩৮৮৮৩৯০ (নগদ+বিকাশ)
০১৭৩৪৬৪৫৬৩৫ (বিকাশ)
মন্তব্য করুন: