প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১০
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশা করেন পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের আশার কথা প্রকাশ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর গোটা পাহাড় অশান্তি হওয়ার কারণ নেই। বিষয়টি হচ্ছে, বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও কিছুটা আলীকদম এলাকাজুড়ে বম নামের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে আছে। খাগড়াছড়িতে চারটি উপজেলায়, রাঙামাটিতে তিনটি এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বান্দরবানে, ১৩টি। এরমধ্যে বম সম্প্রদায় খুব বড় না। ওখানে মারমাই প্রধান, এছাড়া ত্রিপুরা ও চাকমা সম্প্রদায় রয়েছে। এদেরই প্রাধান্য রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চীন ও ভারত সীমান্তের কাছে চিন নামে তাদের একটি রাজ্য আছে। মূলত সেখানে তাদের একটি ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। কুকি চিনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। এরপর হঠাৎ করে তারা কেন অস্ত্র হাতে নিল, সেই কারণ বের করতে তদন্ত হচ্ছে। সংক্ষুব্ধ হয়ে তারা এটা করতে পারে, কিন্তু এটির কারণ জানা নেই। এরসঙ্গে মিজোরামের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা; আমরা জানি না।
মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বা সন্ত্রাসের মদদ দেওয়া হবে বলে আমরা মনে করি না। যাতে পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, হঠাৎ করে এমনটা হতে পারে। ওই এলাকা সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে, যদিও আমি পাহাড়ের সর্বত্র অনেক রাস্তা ও সেতু করেছি, তবুও এগুলো বিচ্ছিন্ন এলাকা, যেমন রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা। এসব এলাকায় আমি গিয়েছি। সেখানে সেতু উদ্বোধন করেছি। এটা এখন তদন্ত হচ্ছে, সবই বেরিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন: