বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়

গোমস্তাপুরে দুই আড়তে মিলল ৪০ টন সরকারি চাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সদরের রহনপুরের দুটি আড়তে প্রায় ৪০ টন সরকারি চালের মজুদ পাওয়া গেছে। তবে অজ্ঞাত কারণে আড়তদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।



এ ঘটনায় আড়তগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে যারা সরকারি চাল বরাদ্দ পেয়েছিল তারা এসব আড়তে চালগুলো বিক্রি করেছে।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে রহনপুর স্টেশন বাজারের এরফান আলীর মালিকানাধীন মল্লিকা রাইস এজেন্সি চাল আড়তে প্রায় ২০ মেট্রিক টন সরকারি (জিআর) চালের মজুদের সন্ধান পায় পুলিশ। রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ ওই আড়ত তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় ওই আড়তের মালিক এরফান আলীকে রহনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রাখা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশের পক্ষে থেকে জানানো হলেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

এদিকে মোবাইল কোর্টের উপস্থিতিতে শনিবার সকালে ওই এলাকার আরেকটি চাল আড়ত মেসার্স খাজাবাবা রাইস এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে আরও ২০ মেট্রিক টন সরকারি চালের মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা, পিআইও হাবিবুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারেকুজ্জামান, রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হক।

মেসার্স খাজাবাবা রাইস এজেন্সির ম্যানেজার সেন্টু রহমান জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা (জিআর) সরকারি চাল তারা ফড়িয়াদের মাধ্যমে কিনেছেন। ধরতে হলে যারা বিক্রি করেছেন তাদের ধরুক প্রশাসন।

এ সময় উপস্থিত ফড়িয়াদের প্রতিনিধি বকুল জানায়, তারা চালগুলো বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে আড়তে বিক্রি করেছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারেকুজ্জামান জানান, মল্লিকা রাইস এজেন্সিতে মজুদ করা চালগুলো নাচোল খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা। চালের বস্তাগুলোতে কোনো ডেলিভারি সিল ছিল না।

আড়তদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, সাধারণত সরকারি বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নগদায়নের জন্য চালগুলো ফড়িয়াদের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন। আড়তদাররা তা ক্রয় করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে অভিযানের সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর দাবি এসব চাল তারা ফরিয়াদের মাধ্যমে কিনা বলে দাবি করলেও আসলে তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশ করে চালগুলো মিলে মজুদ করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর