প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০
ঘনিয়ে আসছে ঈদ। এ সময়টায় মানুষ অন্য সব কেনাকাটার সঙ্গে আতর, টুপি ও পাঞ্জাবি কিনে থাকেন।
ফেনী শহরের তমিজিয়া মসজিদ মার্কেট, জুম্মা শপিং সেন্টার, বড় মসজিদ মার্কেট ও সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা যায় এসব পণ্যের বিকিকিনি এখন তুঙ্গে। দম ফেলার ফুসরৎ নেই ব্যবসায়ীদের। এছাড়া শহরের এসএসকে সড়কের বিভিন্ন শো-রুম ও বিপণী বিতানগুলোয়ও পাঞ্জাবির ক্রেতা বেশি।
শহরের তমিজিয়া মসজিদ মার্কেটের নুরানি আতর হাউজের সত্ত্বাধিকারী মাওলানা হাবিব উল্ল্যাহ জানান, তার বিকিকিনি বেশ ভালো। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার টাকার আতর ও টুপি বিক্রি করছেন।
তার দোকান ও অন্যান্য দোকানের রয়েছে আমির আল উদ, উদ আবিয়াজ, ডানহিল ডিজাইর আইকন, ডানহিল ডিজাইল রেড, ইনপিনিটি ডব্লিউ এস, চকলেট ভ্যানিলা, সাবায়া, রাসা, ডানহিল ব্লাক, কুল ওয়াটার ব্লু, এক্স ব্লাস্ট, এস সিগনেচার, এক্স টুইস্ট, কাঁচা বেলি, স্কাই, মাস্ক মুতাসালাকসহ বিভিন্ন নামের আতর।
দুবাই, সৌদি, সুইজারল্যান্ড, আরব আমিরাত ও বাংলাদেশে তৈরি হয় এসব আতর। চার মিলি গ্রামের একটা বোতল ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বাংলাদেশি দেহনাল উদ নামে একটি আতর বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়। প্রতি চার মিলি গ্রামের দাম ২০ হাজার টাকার বেশি পড়ে৷
টুপির বাজারে রয়েছে ওমানি টুপি, টার্কি টুপি, সিকুইস কাটিং ভোকিজ, পাকিস্তানি বোগিজ টুপি, জালি টুপি, পাঁচকলি টুপি, বসুন্ধরা টুপি, ও স্টোন টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের টুপি।
৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকায় এসব টুপি বিক্রি হয়। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় পাকিস্তানি পেশোয়ারি টুপি। এই টুপি প্রতিটা ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
তমিজিয়া মার্কেট, জুম্মা মার্কেটে কয়েক শতাধিক দোকানে সেলাই পাঞ্জাবির অর্ডার করা হয়। মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র-শিক্ষকরা এখানে পাঞ্জাবি সেলাই করতে আসেন। প্রতিটা পাঞ্জাবি কাপড়-মজুরি মিলিয়ে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এই দুই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫ কোটি টাকার মত ব্যবসা হয়। রমজানের শেষ সময় প্রতিদিন হাজারটার বেশি পাঞ্জাবি ডেলিভারি হয়।
এছাড়াও শহরের অন্যান্য দোকান ও শো-রুম মিলে পাঞ্জাবি, আতর ও টুপির বাজার ২০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ঈদ বাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। এরমধ্যে আতর, টুপি ও পাঞ্জাবির বাজার ২০ কোটি টাকার বেশি।
তিনি আরও বলেন, জেলায় এবার মানুষ নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পৌর মেয়র, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। ফলে মানুষ নিরাপদে বেচাকেনা করছে।
মন্তব্য করুন: