বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়

ব্যয় কমিয়ে পণ্যের অবাধ চলাচল নিশ্চিতে লজিস্টিক নীতিমালা অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

ব্যয় কমিয়ে আমদানি-রফতানি এবং স্থানীয় পণ্যের সহজ ও অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতি, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোন নীতিমালা হয়নি। অনেকদিন থেকে এটা নিয়ে দাবি ছিল। আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে লজিস্টিক সাপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। মোট ব্যয়ের একটা বড় অংশ এখানে আছে।

নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় বা স্বল্পতম সময়ে স্বল্পতম ব্যয়ে সহজভাবে যাতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাটা নিশ্চিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করবেন এবং কী কার্যক্রম গ্রহণ করলে এই সার্ভিসটা দেওয়া সম্ভব হবে, সেই সংক্রান্ত একটি দিক-নির্দেশনা আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রপ্তানি পণ্য উৎপাদন স্থান থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রাটি যাতে বাধাহীন হয়, সে জন্য কী সহায়তা করা যায়- সেটার জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। আগে এটি ছিল না, এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করা হলো।

তিনি বলেন, জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেক্টিভিটি হাব অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেক্টিভিটি হাব হবে, সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস (গুদামঘর) ও পণ্য যাতে পঁচে না যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। নীতিমালায় রপ্তানিকে মুখ্য ধরা হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারের কথাও বলা হচ্ছে। পণ্যের অবাধ যাতায়াতের জন্য যে সকল অবকাঠামো করা দরকার সেই বিষয়ে নীতিমালয়ে বলা আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সংক্রান্ত সব নীতিমালা পরীক্ষা করে তা ব্যবসাবান্ধব করতে বলা হয়েছে। কোন সেবা ব্যক্তি খাতে আসবে, কোনটা পিপিপি হবে, কোনটায় সরকার বিনিয়োগ করবে, সেই তালিকাও রয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি বড়খাত, আমরা দেখেছি এখানে ১০৬ ধরনের পেশার কথা হয়েছে, সেখানে ৫২ ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণও রয়েছে। সর্বনিম্ন কতঘণ্টার প্রশিক্ষণ হবে, তারও একটা বিধানের কথা রয়েছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পরিবেশবান্ধব করতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। পিপিপি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের কথা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। উদহারণ দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সরকারি ও পিপিপির মাধ্যমে হবে। বিমান ও অ্যাভিয়েশনও একইভাবে হবে। সমুদ্রসেবার ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি ও পিপিপিও থাকবে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সেবায় সরকারি, বেসরকারি ও পিপিপি থাকবে। রাইড শেয়ারিং, ক্লিয়ারেন্স ও ফরওয়ার্ডিং সেবা পুরোপুরি বেসরকারিভাবে হবে। এভাবে একুশটি সেবার কথা বলা হয়েছে যে সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।

সচিব বলেন, লজিস্টিক চ্যানেলের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। অর্থাৎ লজিস্টিক খরচ কমাতে হবে। এতে ১৯ শতাংশ খরচ কমে যাবে রফতানির ক্ষেত্রে। আর এটা করতে যা যা করা দরকার, সেই সহায়তা দেওয়া হবে। খরচ কমিয়ে সময়মত সেবা দেওয়ার জন্যই আইনটি করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর