প্রকাশিত:
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৩
“বৈসাবি” ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাইং আর চাকমা সম্প্রদায়ের বিঝু। বৈসুর বৈ, সাংগ্রাইংয়ের সা ও বিঝু’র বি থেকে “বৈসাবি” শব্দের উৎপত্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামে আবহমান কাল ধরে লালিত ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিঝু, বিহু, বিসু, সাংগ্রান, চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উৎসব। এ সকল উৎসবে বহুমুখী কৃষ্টি-সংস্কৃতির বর্ণিল শোভায় শোভিত হয় সমগ্র পার্বত্য জনপদ। উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রতিবছর বর্ণিল কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৫-এপ্রিল শুক্রবার শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বের করা হয়। এদিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে ‘মঙ্গল প্রদীপ’ জ¦ালিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা প্রতিযোগিতা, গরিয়া নৃত্য, বৈসাবি মেলাসহ সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
মূলত শুক্রবার ১২ এপ্রিল থেকেই পুরোদমে শুরু হয় পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির বৈচিত্রময় প্রধান এই সামাজিক উৎসব।
পুরোনো বছরের সকল গ্লাণী দুঃখ-কষ্টকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড় এখন সাজ সাজ রব। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে হয়েছে নানা আয়োজন। এ বৈসাবি উৎসব ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলিত হচ্ছে মিলনমেলায়। প্রাণের এই উৎসবে রং লেগেছে সব বয়সের মানুষের মনে। উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটে বলেই এই উৎসবকে প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। প্রায় সপ্তাহ খানেক আগ থেকে জেলা শহর, বিভিন্ন পাড়া-গ্রাম-মহল্লায় শুরু হয়ে গেছে ভিন্নর্ধী নানা আয়োজন। বাংলার পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে উৎসবে মেতে উঠছেন প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ।
বৈসু, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব বৈসু। প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিন বৈসুমা/বৈসুকমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। ত্রিপুরাদের হারি বৈসু উদযাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বৈসু উৎসব। খাগড়াছড়িতে বৈসু উপলক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৃহৎ সামাজিক উৎসব ঐতিহ্যবাহী “তৈবুকমা-অ-খুম বকনাই, বাই রি কাতাল কাসক-রনাই” যার বাংলা অর্থ মা গঙ্গার প্রতি পুষ্প অর্পণ ও নতুন কাপড় নিবেদনের মধ্যদিয়েই “হারি বৈসু” উদযাপন করা হয়। এর প্রতিপাদ্য হল “চিনি হুকুমু,চিনি সিনিমুং” যার বাংলা অর্থ “আমাদের সংস্কৃতি,আমাদের পরিচয়”। পাহাড়ের সমগ্র ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী নদীতে বাহারি রঙ্গের ফুল দিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে নতুন রিনাই, রিসা (থামি-খাদি) ও কাপড় ভাসিয়ে ত্রিপুরাদের নিজস্ব রীতি অনুযায়ী ‘হারি বৈসু’র উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (১২এপ্রিল) সকাল থেকে খাগড়াছড়ির পল্টনজয় পাড়াস্থ চেঙ্গী নদী, খাগড়াপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধা-বনিতারা গঙ্গাদেবীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে নদীতে পুষ্প অর্পন ও নতুন তৈরির কাপড় ভাসিয়ে হারি বৈসু'র উদ্বোধন করেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,এমপি’র সহ-ধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা।
হারি বৈসু, এ দিন ভোরবেলায় বিভিন্ন বনোফুল সংগ্রহ করে এর একাংশ দিয়ে পুরো বাড়ি সাজানো হয় এবং আরেক এক অংশ নিয়ে নদীর তীরে, মন্দিরে এবং পবিত্র স্থানে, ধুপ ও দীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে জাতি, সমাজ, দেশ ও বিশ্বের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করা হয় এবং ত্রিপুরা তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বনিতারা নেচে-গেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। মূলত এদিনে ঈশ্বরের কাছে সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
বৈসুমা, বৈসুমা হচ্ছে দ্বিতীয় দিন এবং এইদিনে মূলত খাদ্য উৎসব করা হয়। এই দিনে মানুষ একজন আর একজনের বাসায় ঘুরে দেখা সাক্ষাৎকার করে। বৈসুমা দিনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে মিক্স সবজি যেটাকে “গন্তক” বলে ককবরক ভাষায়, আবার অনেকে বলে থাকে “লাবড়া”। এই গন্তক বা লাবড়া তৈরির জন্য প্রায় ১০১-১০৭ ধরনের সবজি দেয়া হয়। ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোর পাশাপাশি সেমাই পায়েস, নুডলস সহ হরেক রকম খাবার তৈরি করে থাকে ।
তৃতীয় দিন হচ্ছে বিসিকাতাল। এই দিনে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। পরিবারের ছোটরা বড়দের পানি দিয়ে পা ধুয়ে প্রণাম করে। নতুন বছরে সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা হয়। বৈসুর সময় ত্রিপুরারা নিজেদের ঐতিহবাহী খেলা সুকুই (গিলা), ওয়াকরাই, চপ্রিং, কাংটি/কাং ইত্যাদি খেলা খেলে থাকে এবং পাশাপাশি ঐতিহবাহী গরয়া নৃত্য পরিবেশন করেন। নতুন বছরের মঙ্গলের জন্য পরিবারের সদস্যদের মধ্যে “কুচাই বতই (এক ধরনের পবিত্র পানি ছিটানো হয়।
সাংগ্রাইং, জলকেলি (পানি খেলা) দিয়ে শুরু হয় মারমাদের সাংগ্রাইং উৎসব। মহাসাংগ্রাইং উৎসবের মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় মারমা সম্প্রদায়। ত্রিপুরা ও চাকমা জনগোষ্ঠীর মতো মারমারাও (১৪, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল) তিন দিন ব্যাপি সাংগ্রাইং উৎসব পালন করেন। সাংগ্রাইয়ের দিন বিশ^ মানব জাতির কল্যাণে ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে বিহারে গিয়ে ফুল দিয়ে পূজা ও প্রার্থনা করেন তারা। দ্বিতীয় দিন প্রধান সাগ্রাইং এবং তৃতীয় দিন জলকেলি (পানি খেলা) এর মাধ্যমে শেষ হবে মারমা সম্প্রদায়ের মহাসাংগ্রাইং উৎসব। তবে মারমা সম্প্রদায়ে দান প্রথা হচ্ছে অন্যতম। এই দিনে পানীয় দান, বস্ত্র দান, ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে নানাবিধ দানসহ আরও অনেক কিছুর আয়োজন করে থাকেন তারা। মারমা সম্প্রদায়ের সকল বয়সী নারী-পুরুষ রঙবেরঙের পোশাকের সাজে বিভিন্ন গানের তালে তালে নেচে-গেয়ে ঐতিহ্যবাহী আলারী, ধ খেলা ও জলকেলিতে মেতে ওঠে মারমা জনগোষ্ঠী।
জলকেলির মধ্যদিয়ে সাংগ্রাইং উৎসবে মেতেছে মারসা সম্প্রদায়
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি-কে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জেলা শহর নানা রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাইং র্যালী ও জলকেলি বা জলোৎসব। সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূজার মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রইং উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগত ঘটেঠে।
রবিবার সকালে জেলা শহরের পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং উৎসবের উদ্বোধ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। বর্ণিল সাজে হাজারো তরুণ-তরুণীর র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক ঘরে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসবে অংশ নেয় ।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈসাবি উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সহাবস্থান নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসবে তরুণ-তরুনীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করে। মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দু:খ-গ্লানি ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সাথে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে। এছাড়াও উৎসব উপলক্ষে নানা খেলা-ধুলা, পিঠা উৎসব, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসার্টের আয়োজন। বৈসাবি এক সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য হলেও এখন সার্বজমিন ও জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবের মধ্য পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি আরও সু-দৃঢ় হোক এ প্রত্যাশা সকলের।
বিঝু, চেঙ্গী ও মাইনি নদীতে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন, চাকমা সম্প্রদায়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি শহরের খবংপড়িয়া এলাকায় চেঙ্গী নদীর পারে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ও মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে প্রার্থনা করে উৎসবের সূচনা করেন।
খবংপড়িয়া এলাকার বিজরী চাকমা বলেন, ফুল বিঝুকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছোট বড় সকলে ফুল বিঝুর দিনে খুব ভোরে সবাই মিলে জঙ্গলে, মানুষের বাড়িতে বা নিজের বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করি। তা দেিয় চেঙ্গী নদীর পারে একটি বেদী তৈরি করে কলা পাড়ার উপর ফুল সাজিয়ে গঙ্গার উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে থাকি। আমরা মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করি পুরাতন বছরের যত দুঃখ কষ্ট দুর করে রোগ ব্যাধি আছে সবগুলো যাহাতে পুরাতন বছরের সাথে সাথে এগুলো নির্মূল হয়ে যায়। আর নতুন বছরে সবার জীবনে যাহাতে সুখ-শান্তি মঙ্গল বয়ে আনে মা গঙ্গার কাছে এই কামনা করি।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জীতেন চাকমা বলেন, মানুষ যাহাতে ভালোটা মনে রাখে রাখাপটা মনে না রাখে সেই উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল দিয়ে এই উৎসবটি পাল করে থাকে। ফুল বিঝুর দিন যেমন নদীতে ফুল দেয়া হয় তেমনি ঘর ফুলে ফুলে সাজানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলয়ের মধ্য দিয়ে এ বিঝু উৎসবকে তারা স্মরণীয় করে রাখে।
জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, পাহাড়ের এই মহা উৎসবকে গিরে পুরো জুরে পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশি নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া সাধা পোষাকেও গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাড়ানো আছে। এছাড়া নয় উপজেলার থানাগুলোকে পর্যপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য অবগত করা হয়েছে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা পশাসকের উদ্যোগে শহরে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সরকারি-বেসমকারিসহ বিভিন্ন শেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন: