রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ শাশুড়ি ও স্ত্রীর মৃত্যুর পর চলে গেলেন লিটনও। মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬ টায় মো. লিটন (৫২) মারা যান। তার শরীরের ৬৭ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল।
আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম এ খবর জানিয়েছেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। গত শনিবার লিটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেসা ও সোমবার তার স্ত্রী সূর্য বানু মারা যান।
চিকিৎসক তরিকুল জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সূর্য বানু-লিটন দম্পতির তিন সন্তান লিজা (১৮), সুজন (৯) ও লামিয়ার (৭) অবস্থাও আশংকাজনক।
ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীতে গত শুক্রবার ভোরের দিকে দোতলা বাসার নীচতলায় এই আগুনের ঘটনায় তারা দগ্ধ হন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তারা দগ্ধ হন।
ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, তাদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল। বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়।
মন্তব্য করুন: