বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর দিলো বিআরটিএ
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০২

শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের শ্রম আইনের আরও উন্নতি চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মতামত জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনেও এ শ্রম আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এর আগেও আমরা আইনটি পাস করার পর্যায়ে ছিলাম, কিন্তু আইএলও থেকে অনুরোধ করা হলো, এটিকে আরও সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী করতে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত সংসদে আমরা আইনটি পাস করিনি। এবার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, পরে ২ মে যে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে, সেখানে এ আইন নিয়ে কথাবার্তা হবে, পরামর্শ নিয়ে পাস করব।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় সবসময় শ্রমিকের পক্ষে। আবার মালিকদেরও গলা টিপে মেরে ফেলা যাবে না। হাঁস গলাটিপে মারলে সোনার ডিম পাওয়া যাবে না। আমরা চাই, সবাইকে সঙ্গে রেখে সমন্বয় করে একটি যুগোপযোগী শ্রম আইন পাস করতে।

শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন পরামর্শের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটা টালবাহানা করছে। তারা একটা করলে আরেকটা দাবি করবে। যতক্ষণ না তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব, ততক্ষণ তারা আমাদের সঙ্গে এসব করতে থাকবে। পরাশক্তির অনেকগুলো হাত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতালোভী নয়।

তিনি বলেন, আমেরিকা বড় শক্তি। তাদের অবশ্যই পরোয়া করতে হয়। তাই বলে আমাদের স্বকীয়তা বিলিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে আপস করতে রাজি নই। যুক্তরাষ্ট্র যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সেসব আমরা নেব, তবে যাচাই-বাছাই করে। যেসব নিতে পারব না, বিনয়ের সঙ্গে বলবো—এসব নেওয়া যাচ্ছে না। আর যেসব নেব, তা তাদের জানাব।

যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের সহায়তা করে। তারা বিভিন্ন খাতে আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়। আমরা চেষ্টা করব, তাদের শর্ত রাখার জন্য। আমরা হয়তো অনেক সময় তাদের সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করি, তারপরও পারি না। আমাদের ভাগ্য খারাপ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর