শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

আলু খাওয়া কি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৩, ১৭:০৩

বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস, পাতলা মাছের ঝোল হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি— রান্নায় আলু না পড়লে মন যেন ভরতে চায় না। ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা আবার আলু এড়িয়ে চলেন। আলু খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না মন্দ— তা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আলু মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণা ভুল। সব কিছুর মতো আলুরও কিছু ভাল এবং মন্দ দিক রয়েছে। ডায়াবিটিস থাকলে কিংবা ওবিসিটির সমস্যা থাকলে আলু কম খাওয়ার পর পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা, তবে সেই সব অসুবিধা না থাকলে ডায়েটে আলু রাখাই যায়। আলুর কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও আলু দারুণ উপকারী।

ফাইবারের উৎস: ডায়েটে বেশি মাত্রায় ফাইবার থাকলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে। উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। আলুতে ভাল মাত্রায় ফাইবার থাকে। আলুর খোসাতেও ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। তাই রান্নায় মাঝেমধ্যে খোসাসমেত আলু ব্যবহার করতে পারেন। এতে পেট পরিষ্কার হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।

 

বদহজমের দাওয়াই: গ্যাস-অম্বলের সমস্যা নিয়ে ভোগেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নিত্য গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালার সমস্যা লেগেই রয়েছে। অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধের উপরে। তবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন আলুর উপর। কাঁচা আলুর রস নিয়ম করে খেলে এ ক্ষেত্রে উপকার পেতে পারেন।

 

 

প্রদাহ কমাতে: আলুর কিন্তু প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। গাঁটের ব্যথা কিংবা শরীরে যন্ত্রণা হলে আলুর রস নিয়ম করে খেতে পারেন। পেশিতে যন্ত্রণা হলেও আলু রাখতে পারেন ডায়েটে। আলুতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা কমায়। যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রোজ খালি পেটে আলুর রস খেলেই হল।

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে: আলুতে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। স্নায়ু, কিডনি ও হার্ট ভাল রাখতে এই উপাদানটি বেশ জরুরি। ডায়েটে আলু রাখলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

ক্ষতি কিসে?

 

ফাস্ট ফুড সেন্টারের তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিয়মিত খেতে আরম্ভ করলে বা চিপ্‌স খেলে আলু ক্ষতি করতে শুরু করে। পুষ্টিগুণ বিন্দুমাত্র থাকে না। সরল কার্বোহাইড্রেট বলে এক টুকরো বিরিয়ানির আলুও খাওয়া যাবে না, এমন ভাবনা ভুল। এমনকি, আলুতে কোলেস্টেরলও থাকে না। প্যাকেটবন্দি আলুর স্ন্যাক্সে নুন ও তেলের পরিমাণ বেশি থাকে বলে সেখান থেকে কোলেস্টেরল বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। আলু বেক কিংবা রোস্ট করে খান অনেকে, এতে শরীরের ক্ষতি হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় আলুর মধ্যে আক্রিলামাইড যৌগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। সাধারণ রান্নায় আলু ব্যবহার করুন। আলু সেদ্ধ করেও খেতে পারেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর