প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯
পুলের জলে গা ভিজিয়েছেন কলকাতার নির্মাতা বিরসা দাশগুপ্ত এবং অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী। এরা ভালোবেসে জড়িয়ে রয়েছেন পরস্পরকে। তবে ছবির ক্যাপশন নিয়ে শুনতে হলো ব্যাপক কটাক্ষ।
জানা যায়, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরসা দাশগুপ্ত ও বিদিপ্তা চক্রবর্তী। পরিচালক - অভিনেত্রীর প্রেম ও বিয়ে নিয়ে গেলো কয়েকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা। বান্ধবীর ছেলেকে বিয়ে করার কথা কয়েকদিন আগেই নিজের মুখে জানিয়েছিলেন বিদিপ্তা। এবার বিরসা বেশ মাখোমাখো রোম্যান্সের ছবি দিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
কলকাতার গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ফ্যামিলি ভ্যাকেশন থেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন বিরসা। পুলের মাঝে তোলা হয়েছে ব্যাপক আলোচিত এই ছবিটি। বরের বুকে মাথা রেখেছেন বিদিপ্তা। ক্যাপশনে লেখেন, আজ ওয়ার্ল্ড বুক ডে, সবাই বুক হাতে ছবি দিচ্ছে! আমিও দিলাম বুকে বিদিপ্তা। ছবির পেছনে দেখা গেলো বিরসা - বিদিপ্তার কন্যা ইদাকেও।
জানা গেছে, অন্তর্জালে ট্রলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিরসার দেওয়া এই ক্যাপশন। একজন লেখেন, আপনি হয়তো মজা করেই এই ক্যাপশন দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্ল্ড বুক ডে'র সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে ফেলবেন না প্লিজ। শিক্ষার জায়গা আর ভালোবাসার জায়গা আলাদা। দ্বিতীয়জন লিখলেন - কী বাজে মস্করা। পরে অবশ্য বদলে দেওয়া হয় ছবির ক্যাপশন। লেখা হলো, হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে।
ভারতের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল দূরদর্শনে নাটক করার সূত্রে বিরসা'র মা চৈতালির সঙ্গে আলাপ বিদিপ্তা'র। আলাপ ছিল বিরসা'র বাবা রাজা'র সঙ্গেও। কদিন আগে একটি অনলাইনকে ৬ বছরের ছোট বিরসা'র সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, বিরসা - রিভুকে ছোট বয়সে দেখেছি। হয়তো কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে দিয়েছি।
তিনি জানান, শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠেই নাকি শুরুটা হয়েছিল। সেই সময় বিরসা'রও সবে সবে একটা প্রেম ভেঙেছে। আমারই এক বান্ধবীর সঙ্গে ওর প্রেম ছিল। ওরও মন খারাপ, আমিও বিবাহিত জীবন নিয়ে সমস্যা। কেয়া পিসি (চৈতালি, বিদিপ্তা'র শাশুড়ি) তো বলে সেই যে তোরা হাত ধরে গল্প করতে করতে কোথায় পৌষমেলার মাঠে হারিয়ে গেলি।
ক্যাপশন নিয়ে যতই ট্রোল হোক না কেন, যেভাবে আদরে জড়িয়ে রয়েছেন তারা একে - অপরকে, তা বুঝিয়ে দিল বিয়ের এত বছর পরেও বিরসা - বিদিপ্তা'র সংসারে একফোঁটা কমেনি রোম্যান্স। ছয় বছরের বয়সের ফারাক কোনো প্রভাব ফেলেনি তাদের সম্পর্কে।
মন্তব্য করুন: