প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০
শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরকে শারীরিক হেনস্থা করেছেন উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোরশেদ রায়হান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুর রহমানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান, সহকারী প্রক্টর মো. জাহিদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর মো. মোশারফ হোসাইন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, 'শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বিবাদীদের মত বিরোধ চলমান ছিলো। সে বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা উপাচার্যসহ অভিযোগপত্রে বর্ণিত সাক্ষীদের উপর চড়াও হয়ে গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে দাঙ্গা হাঙ্গামার উদ্দেশ্যে সমবেত হন। ঐ সময় উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীগণ তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল কক্ষে প্রবেশের সময় বাধা দেন এবং সম্মানহানি করে। ঐ সময় বিবাদীরা বর্ণিত সাক্ষীদেরকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। উপাচার্যসহ সাক্ষীদের কাজে বাধা প্রদান করে তাদের সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ লোকজন এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীদেরকে উদ্ধার করেন। বিবাদীরা প্রকাশ্যে উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে
মন্তব্য করুন: