প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২২
নরসিংদীতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের দুই এজেন্টকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত টাকার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নরসিংদী শহরের শালিধা এলাকার মৃত অলি মিয়ার ছেলে বিধান মিয়া (৩০), মাধবদী থানার জীতরামপুর (চরদিগলদী) এলাকার মৃত লিটন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় (২৪), পলাশ উপজেলার ইছাখালী (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মোশারফ মিয়ার ছেলে মো. সোলাইমান মিয়া (৩৭)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে নগদের নরসিংদী অফিস থেকে দুইজন এজেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন পাঠান (৪০) ও মো. শাহিন (২৫) মোটরসাইকেলে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে রায়পুরা যাচ্ছিলেন। পথে তারা রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগর এলাকার ১০ নম্বর ব্রিজ পাকা রাস্তায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গুলি করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় দেলোয়ার ও শাহীন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবদী থানার পাঁচদোনা মোড় থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিধান মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই দিন রাতে শিবপুর থানার কলেজগেট এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয় ও সোলাইমান মিয়া নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদের লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা মোট ছয়জনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে জনপ্রতি ১৪ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে স্বীকার করেন। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
বিভিন্ন অপরাধে সোলাইমান মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি ও মো. হৃদয়ের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার ও সর্বমোট ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: