প্রকাশিত:
১ মে ২০২৪, ১৭:০২
বৈশাখের তাপপ্রবাহ যখন আপনার শরীর-মন দুটোই কান্ত। ঠিক তখনি এই দুর্বিষহ গরমকে প্রতিহত করে শরীরটাকে চনমনে রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শসার জুড়ি নেই।
শসা যতটাই সাদাসিধে হোক না কেন খাদ্যগুণ বিচারে এটি অনন্য। শসাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ শতাংশ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১শ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই।
এই শসার খোসার গুণও খুব একটা কম নয়। খোসাসহ শসা খাবার অভ্যাস আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যকে কমিয়ে দেবে অনেকখানি এবং আপনার অন্ত্র থেকে দেহের জন্য ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে বের করে দিয়ে অন্ত্রের ক্যানসারের মতো রোগ থেকে আপনাকে দেবে সুরক্ষা।
শসায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এই পটাশিয়ামকে বিশেষজ্ঞরা হৃদযন্ত্রের বন্ধু বলে থাকেন। কারণ এটি রক্তচাপ কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শসায় পানি এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি মৃদু মাত্রার মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এ উচ্চরক্তচাপ ও ওজন কমাতে শসার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া খাদ্যতালিকায় শসাকে নিয়মিত রেখে আপনি আপনার দেহের ইউরিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিডনি ও মূত্রথলির কতিপয় পাথর থেকে পেতে পারেন রেহাই।
শসায় বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি, ভিটামিন এ, ল্যুটেইন প্রভৃতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের সুরক্ষায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
সৌন্দর্যচর্চায়ও আপনার সঙ্গী হতে পারে এই শসা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চোখের চারপাশের ফোলাভাবসহ ত্বকের সব ধরনের কান্তি দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে।
বহু গুণে ভরপুর এই শসাকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আর উপভোগ করুন সুস্থ দেহ, সুন্দর জীবন।
মন্তব্য করুন: