প্রকাশিত:
১ মে ২০২৪, ১৮:০৭
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সভা সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র্যালী আয়োজনের মাধ্যমে রাজধানীতে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে গানে, স্লোগানে, মিছিলের আয়োজনও করা হয়েছিল।
বুধবার (১ মে) নিজেদের অধিকার আদায়ে ও বিভিন্ন দাবি জানিয়ে রাজপথ স্লোগান মুখর করে রেখেছিলেন শ্রমিকরা। দলে দলে মিছিল করে আসে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে হাজারো শ্রমিক। তারা তুলে ধরছেন ভিন্ন ভিন্ন কিংবা অভিন্ন দাবি। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গানও গেয়েছিলেন শ্রমিকরা।
ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শ্রমিকসহ শ্রমিক নেতারা যে দাবিগুলো করেছেন- বেতন- ভাতা-মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কমানো, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধ, নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ, রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, ১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করেছে। আজকে মহান মে দিবস। পৃথিবীর সব দেশে এই মে দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতিবছরই আমরা এ মে দিবস পালন করি। একটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি সেটা হলো কিন্তু শ্রমিকদের কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। আজকের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সরকার বারবার বলছে উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ ভাসছে। সরকার এখনও শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তার জায়গাটি তৈরি করতে পারছে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৫৩ বছর পরও আমরা শ্রমিকের দাবি পূরণ করতে পারেনি। সরকার বারবার টালবাহানা করছে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের শ্রমিক নেতারা বলেন, অনেক শিল্প কারখানায় শ্রমিক নেতাদের ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো হয়। চরম মজুরি শোষণের কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হন ওভার টাইম করতে। ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানোর ফলে শ্রমিকদের শরীরের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি বিপর্যস্ত হয় তাদের পারবারিক জীবন।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে সমাবেশ ও র্যালীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), জাতীয় গগণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ প্রগতিশীল নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, ঢাকা মহানগর সিএনজি- অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ, উত্তরা পূর্ব থানা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটিসহ আরও কিছু সংগঠন।
মন্তব্য করুন: