প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৪
মালিকদের কাছ থেকে ন্যায্য মজুরি আদায় করতে হলে শ্রমিকদের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।
আসলে টাকা দেয় মালিক, যেটা আদায় করা বেশ কষ্টসাধ্য। সেটা সম্ভব করতে হলে শ্রমিকদের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি) এটির আয়োজন করে।
গোলটেবিল আলোচনায় শাজাহান খান বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা কিন্তু একটি সংগঠনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে বিভক্ত। ২০১৩ সালে আমরা শ্রমিকদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। তাতে একটি ইতিবাচক ফলাফল এসেছিল।
তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রমিকরা বিভিন্ন অংকের বেতন পান। এটা ঠিক যে, সে বেতনটাকে আমরা একটি স্কেলে নিয়ে আসতে পারিনি। তবে এখনো সময় এসেছে। কিন্তু তার আগে শ্রমিকদের মধ্যে যে বিভক্তি আছে তা দূর করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনায় বসেছি। তাতে সফলতাও এসেছে। গার্মেন্টস সেক্টরে যে অস্থিরতা আগে ছিল, সেটা এখন আর নেই। আন্দোলন হবে স্বাভাবিক, সেটি অন্যায় নয়। সরকারের দায়িত্ব সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে সমাধান করা।
এসময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরে আইবিসি। এগুলো হচ্ছে-
গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশন ও আবাসন ব্যবস্থা চালু করা; গার্মেন্টস শ্রমিকদের গ্রাচ্যুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) চালু করা; মাতৃত্বকালীন সময়ে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা, আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা; নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা।
শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা; আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন; গার্মেন্টসে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে সকল বাধা অপসারণ করা; শ্রম দপ্তরের দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করা; আইএলওর রোড ম্যাপের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন; গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ডাটাবেজ তৈরিসহ আইডি কার্ড দেওয়া; আইএলও কনভেনশন- ১৯০ এবং ১২১ অনুসমর্থন করা; ইমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমকে পাইলট প্রকল্প থেকে সার্বজনীন করা; কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধ ও অপরাধীদের শান্তি নিশ্চিত করা; এবং কথায় কথায় চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা, চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের শ্রম আইন মোতাবেক পাওনা পরিশোধে সব হয়রানি বন্ধ করা।
আইবিসির সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, সিপিডির পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: