প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৪, ১৬:২৭
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরে আলোচনার মধ্যেই হামাসের রকেট হামলায় তিনজন ইসরায়েলি সেনা নিহত ও বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন।
জবাবে পাল্টা রাফাহ শহরে ইসরায়েল হামলা চালালে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ইসরায়েলে গোলাবারুদের একটি চালান থামিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যদিও গোলাবারুদের চালান থামিয়ে দেওয়ার কারণ খবরে প্রকাশ করা হয়নি।
খবরটি প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো সম্পর্ক নেই, তথা নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ বিষয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ সম্পূরক বরাদ্দ পাস করেছে। ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি অভূতপূর্ব জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে। ইসরায়েল যেসব হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, তা থেকে তারা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেটি নিশ্চিতের জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত মাসে বাইডেন একটি বৈদেশিক সহায়তা বিলে স্বাক্ষর করেন যেখানে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের জন্য ২৬ বিলিয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ইসরায়েলি সামরিক সহায়তা, ৯ বিলিয়ন গাজার জন্য মানবিক সহায়তা এবং ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আঞ্চলিক মার্কিন সামরিক অভিযানের জন্য রয়েছে।
যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা রাফাহতে ইসরায়েলের একটি একটি সম্ভাব্য অভিযান নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ ওই অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি নিয়ে নিবিড় আলোচনায় এগিয়ে যেতে যাচ্ছে।
এদিকে রোববার হামাসের রকেট হামলার পর কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতো।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ক্রসিং খুলে দেয়।
সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলার মুখে গাজার বেশির ভাগ মানুষ উপত্যকাটির রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আছে।
এদিকে হামাসের হামলার পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল রোববার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির লক্ষ্যে বর্তমানে আলোচনায় যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই। ইসরায়েল ও হামাসের অনড় অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন: