মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
  • গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা
  • কঠোর হতে চায় না সরকার, আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান
  • বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

দেশে কোনো রাজনৈতিক মামলা হয় না : অ্যাটর্নি জেনারেল

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১২ মে ২০২৪, ১৫:৩৮

বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক মামলা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমার জানামতে কোনো রাজনৈতিক মামলা হয় না। পুলিশ কোনো রাজনৈতিক মামলাও করে না। যেকোনো একটি ঘটনা ঘটলে একজন ইনফরমেটিভ হন, পরবর্তীতে রাষ্ট্র মামলাগুলো পরিচালনা করে।


’রবিবার সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের আদালতগুলোতে মামলাজট প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে অধিকাংশ মামলা বিচারের আগেই নিষ্পত্তি হয় আপস-মিমাংসার মাধ্যমে। যার ফলে মামলা বিচারের জন্য যায় কম। সে কারণে ওদের মামলাজটটাও কম।


আর আমাদের দেশে প্রায় সকল মামলাই বিচারের জন্য আদালতে যায়। প্রতিটি মামলাতে সাক্ষ্য হয়, প্রমাণ হয়- এসব করতে সময় লাগে। একজন বিচারকের কাছে ২০টা, ২৫টা, ৫০টা কিংবা ১০০টা মামলা থাকে। তখন নিষ্পত্তি করতে সময় লাগে।


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। সম্ভবত মামলা হয়নি। এই আইনটা সতর্কভাবে প্রয়োগ করার কথা আছে এবং এই মামলাগুলো যিনি করবেন, তাকে কিন্তু অনেক কিছু প্রমাণ করতে হয়। এ কারণে এই আইনে মামলা করা সহজ নয়। এই আইনে কারও যেন হয়রানি না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখা হয়েছে।


’এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রধান অতিথি হিসেবে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মুট কোর্টে প্রতীকী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়। সেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন।

পরবর্তীতে ‘আইন পেশায় কেন আসবেন’ শীর্ষক আইন ও মানবাধিকার বিভাগের একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এতে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী। সভাপতিত্ব করেন আইন ও মানবাধিকার বিভাগের বিভাগের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর